ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না, সাধুহাটি ও মধুহাটি ইউনিয়নের ডহরপুকুরিয়া, বাদপুকুরিয়া, শ্যামনগর, নাথকুন্ডু ও সাগান্নাসহ বিভিন্ন মাঠের আবাদি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করে
রমরমা বালু ও মাটির ব্যাবসা করছে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতারা।
এতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, সরকারি রাস্তা ও বসত-ভিটা। কৃষকের জমি, সরকারি রাস্তা ও বসত-ভিটাবাঁচাতে সাগান্না ও মধুহাটি ইউনিয়নের কৃষকেরা গত বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা
প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের নিকট ৪৫ জন কৃষক স্বাক্ষর করে আবেদন পত্র দিয়েছেন। আবেদনে বলা হয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে, কিন্তু বর্তমানে আবাদী ধানি জমি, খাস জমি ও খাল গুলোতে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের ফলে আমন ও বোরো আবাদে ধান চাষ ও অন্যান্য ফসল চাষে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি পড়লে রাতের আঁধারে চলে পুকুর খননের কাজ। দিনের পর দিন এই ভাবে পুকুর খননের ফলে অতিরিক্ত
বৃষ্টির পানি ও বন্যার পানি নদীতে যেতে পারছে না। ফলে আবদ্ধ পানি জমে ফসল চাষে জমি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দিন দিন মানুষ আরো কর্মহীন হয়ে পড়ছে।
শুধু এর প্রভাব ২ নং মধুহাটি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রাম নয় পার্শ্ববর্তী ৩ নং সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া গ্রাম ও নাথকুন্ডু গ্রাম ছাড়াও মামুনশিয়া, নওদাপাড়া ও রাঙ্গিয়ার পোতা গ্রামের সাধারণ মানুষ চরম জলাবদ্ধতার
মধ্যে আছে। এই জলাবদ্ধ জমির পরিমাণ আনুমানিক ২ হাজার একর। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠু ভাবে তদন্তের মাধ্যমে সু-ব্যবস্থা দানের দাবি জানান এসব ভুক্তভুগি কৃষকরা। এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার
বদরুদ্দোজা শুভ জানান আবেদনটি পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।