চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবাঁশের কঞ্চির চটা দিয়ে তৈরি মাটি কাঁটার ঝুড়ি (ডালী) ও মাছ ধরার যন্ত্র ঘুণি তৈরির গ্রাম গুলোর শিশু-বুড়ো সবাই প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় পার করছে। সব সময় বাজারে ঝুড়ি চাহিদা একটু বেশি। কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বসোয়া, বসাকুষ্টে, গোপালপুরসহ ৬টিরও বেশি গ্রামের নিম্নবিত্তের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস মাটি কাঁটার ঝুড়ি ও মাছ ধরার যন্ত্র ঘুণি তৈরি। মৌসুম বুঝে বাঁশের তৈরি এসব জিনিসের চাহিদা লেগেই থাকে। তাই মাটি কাঁটার ঝুড়ির চাহিদা একটু বেশি। এসব গ্রামে ঝুড়ি বুনুনের ধুম পড়েছে। প্রতিটি পরিবার ১ হাজার পিস ঝুড়ি তৈরি করে থাকে। বাঁশের কঞ্চি আর পরিশ্রম দিয়ে তৈরি মাটি কাঁটার একটি ঝুড়ি হাট-বাজারে কমপক্ষে ১শ থেকে দেড়শ টাকায় বিক্রি হয়। খোকসা, কুমারখালী ও পাংশা উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে চাহিদার সঙ্গে এসব গ্রামেও তৈরি পণ্য বিক্রি হয়।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) খোকসার কিছু গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে পথের ধারে দেখা মেলে বৃদ্ধ দুই দম্পতির মাটির কাঁটার ঝুড়ি তৈরির দৃশ্য। বৃদ্ধ এক মনে ঝুড়ির বাইন (বুনুনি) দিয়ে চলেছে। একটু দূরে বৃদ্ধা শামেলা বাঁশের কঞ্চি থেকে চটা তুলছে। প্রায় ২০ বছর ধরে তারা এই পেশার সঙ্গে জড়িত। তাদের মতো এ গ্রামের আকাই খাঁ, জব্বার খা, লাইলী খাতুন অনেকেই এই কাজ করে জীবন সংসার চালাচ্ছেন।
লাইলী খাতুন জানান, আগে কঞ্চির দাম কম ছিল। এখন বাঁশ বাগান কমে যাওয়া কঞ্চির দাম বেড়ে গেছে। তারা ২ জনই দিন-রাতে ৮টি ঝুড়ি তৈরি করতে পারে। তবে ঝুড়ি বিক্রিতে লাভ খুব একটা হয় না। ঝুড়ি বিক্রিতে যা পাওয়া যায় তা দিয়েই চলে সংসার