করোনাভাইরাসে সংক্রমণ শনাক্তের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলেও টিকাগ্রহীতার সংখ্যা কমে আসছে। শনিবার (২৭ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী সারাদেশে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৬৫ হাজার ৩৬৫ জন।
গতকাল শুক্রবার (২৬ মার্চ) ছুটির দিন হওয়ায় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) গতকালও বুধবার ভ্যাকসিন নেন। ৭৮ হাজার ৮১৭। এ নিয়ে মোট ৫২ লাখ ৪ হাজার ৮২৪ জনকে করোনার টিকা দেয়া হলো।
বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে ছুটির দিন বাদে প্রতিদিনই সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মানুষজন টিকা নিচ্ছেন। ১৫ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিন দুই লাখের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ জন টিকা নিয়েছিলেন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে। এই টিকা ব্যবহার করছে বাংলাদেশ।
টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বৈশ্বিকভাবে অনেক ওপরে। কিছু ক্ষেত্রে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিবেশী দেশ ভারতকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
বিভাগভিত্তিক ভ্যাকসিন নেওয়ার হিসাবে দেখা গেছে-
• ঢাকায় ১৬,৭০৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৯,৬৯৯ জন এবং নারী ৭,০০৮ জন।
• চট্টগ্রামে ১৩,৭৪৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৭,৪৫০ জন এবং নারী ৬,২৯৯ জন।
• রাজশাহীতে ৭,৯৩৯ জনের মধ্যে ৪,০৪৫ জন পুরুষ, নারী ৩,৮৯৪ জন।
• রংপুরে ৭,৬০৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৩,৮৫৪ জন পুরুষ, নারী ৩,৭৫২ জন।
• খুলনায় ৬,৪১০ জনের মধ্যে পুরুষ ৩,৫১২ জন , নারী ২,৮৯৮ জন।
• বরিশালে ১,৮৯৪ জনের মধ্যে ১,২৭৪ জন পুরুষ, নারী ৬,২০ জন।
• সিলেটে ৫,২৩৩ জনের মধ্যে ২,৭৯৩ জন পুরুষ, নারী ২,৪৪০ জন।
• ময়মনসিংহে ৫,৮৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ২,৭১৫ জন ও নারী ৩,১১৫ জন।
শনিবার (২৭ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৯ জন। অন্যদিকে সাড়ে চব্বিশ হাজারের বেশি পরীক্ষায় ৩ হাজার ৬৭৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।
গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এ মহামারিতে মোট মারা গেছেন ৮ হাজার ৮৬৯ জন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮০৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ২২৯ জনের।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে, সংক্রমণ থেকেও ততো বেশি সুরক্ষা পাওয়া যাবে। নিবন্ধন ও দৈনিক টিকা দেওয়ার গতি বাড়িয়ে অল্প সময়ে বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা দরকার। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ীই টিকা দেওয়া হচ্ছে।