চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ বাগেরহাটের চিতলমারীতে টিসিবি’র তেল কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর উকিল ও চিতলমারী উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোঃ মিলন মাঝিকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় এবং বাগেরহাট জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ আহবায়ক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, যুগ্ম-আহবায়ক সরদার আব্দুল কাদের ও বিশ্বজিৎ সরকার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় ও বাগেরহাট জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ আহবায়ক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল জানান, করোনা দূর্যোগের কান্তিকালে দল ও সরকারের দূর্নীতি বিরোধী অবস্থানকে তোয়াক্কা না করে মেসার্স মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নামে টিসিবির পন্য কালোবাজারে বিক্রির দায়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি চরম ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এমতাবস্থায় তাদেরকে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। সেই সাথে কেন তাদেরকে দল থেকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হবে না সে জন্য ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।
প্রসংগত, গত বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বাগেরহাট চিতলমারীতে কালোবাজারে বিক্রি হওয়া টিসিবি’র ১৯২ লিটার তেলের মধ্যে ৯০ লিটার তেল উপজেলা প্রশাসন উদ্ধার করে। এ সময় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর পণ্য কালোবাজারে বিক্রির দায়ে আবির স্টোরের মালিক ইসমাইল কাজীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
এ ব্যাপারে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টিসিবির ডিলিয়ার মোঃ জাহাঙ্গীর উকিল মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি আজ ৩৬ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। উপজেলা প্রশাসন ও দলের নেতাদের অনুরোধে আমি চিতলমারী সদর ইউনিয়নে মাল বিক্রির জন্য চিতলমারী উপজেলা সেচ্ছা সেবক লীগের আহবায়ক মিলন মাঝিকে দায়িত্ব দেই। কোন অনিয়ম হলে সে করেছে। এখন যেটা হচ্ছে সেটা আমার বিরুদ্ধে অবিচার হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মিলন মাঝি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি টিসিবির কোন ডিলিয়ার নই। আমি কোন তেল কারো কাছে বিক্রি করি নেই। আর এ ব্যবসার সাথেও আমি জড়িত না।’