খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন “টুঙ্গিপাড়ার খোকার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেতাম না। সেই কিশোর বয়স থেকে শেখ মুজিব দৃঢ় ও স্বাধীন চেতা স্বভাবের ছিলেন। তার স্কুলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন করে জানান দিয়েছিলেন তিনি হবেন এই বাঙালি জাতির মুক্তির অগ্রদূত। তিনি আরও বলেন শিশু বা কিশোর বয়সে মানুষের সঠিক চেতনার উন্মেষ ঘটে তাই আজকের দিনের ছাত্র কিশোর যুবকদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে তার জীবনী জানতে হবে পড়তে হবে। বঙ্গবন্ধু কোলকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়াকালীন সময় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে পরিশেষে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতির অসংবাদিত নেতা তথা বাঙালির জাতির পিতা হিসেবে আবির্ভূত হন। তাই আমাদের বর্তমান ছাত্র সমাজ কে আগামীর পথপ্রদর্শক হিসেবে জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে চলতে হবে। তিনি অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন এই এতিম অসহায় শিশুদের সাথে এমন একটি সুন্দর অনুষ্ঠান করার জন্য খুলনা মহানগর ছাত্রলীগকে সাধুবাদ।” স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উপলেক্ষ খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কেককাটা, শিশুদের মাঝে পুরস্কার ও খাবার বিতরণ অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল ৭, সাউথ সেন্টাল রোডস্থ খুলনা সরকারী শিশু পরিবার বালিকা (তাম্বি হাউস) এতিম খানায় এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কেককাটা, শিশুদের মাঝে পুরস্কার ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপূর্বে সকাল সাড়ে ৭ ঘটিকায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এর পর খুলনা বেতার কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা ইসলাম, খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মোঃ আবু হানিফ, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল এর পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য কাজী কামাল হোসেন, খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক খান মোতাহার হোসেন, সরকারী শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক কাজী হাফিজুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবু, মাসুদ হোসেন সোহান, রণবীর বাড়ই সজল, মাহামুদুল হাসান শাওন, এখতিয়ার মোল্লা, জব্বার আলী হীরা, ঝলক বিশ^াস, জহির আব্বাস, ইয়াসিন আলী, মোঃ শাহিন, দিদারুল আলম, সৌরভ আশঁ, মোঃ সুমন শেখ, সোহেল শেখ, লাবিব হোসেন মিথুন, মেহেদী হাসান সুজন, এসএম ইমাজ উদ্দীন, মাহামুদুল ইসলাম সুজন, শিকদার রাসেল, শেখ সাকিব, কামুরজ্জামান ইমরান, সোহান হোসেন শাওন, তায়েজুল ইসলাম তাজ, ইবনুল হাসান, মাহামুদুর রহমান রাজেস, আব্দুল কাদির সৈকত, তরিকুল ইসলাম তুফান, এমএ হোসেন সবুজ, মেহেদী হাসান স্বপন, বায়েজিদ সিনা, আহনাফ অর্পন, জোয়েব সিদ্দিকী, সাগর মিত্র চিন্ময়, সাজু দাশ, মশিউর রহমান বাদশা, শংকর কুন্ডু, শাহ আরাফাত রাহিব, জান্নাতুন নূর টিকলী, মেহেদী হাসান সজিব, সৈকত দাশ, মোঃ গালিব হোসেন, প্রিতম সাহা, শেখ সাইফ সাজিদ, অভিজিৎ সরকার রাহুল, ওমর কামাল, অরিন্দম চক্রবর্তী, শফিকুল ইসলাম মুন্না, নিশাত ফেরদৌস অনি, পিয়াল হাসান, রাহুল শাহরিয়ার, আলামিন হোসেন সহ দলের বিভিন্ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও ক্রেস্ট বিতরণ এবং তাদের সাথে কেককাটা হয়। এরপর এতিম শিশুদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়।