ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহনের ধর্মঘট চলছে টানা চারদিন ধরে। তাদের দেওয়া তিন দফা দাবির কোনোটিই মানেনি সরকার। ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে সংগঠনগুলোর সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে সেভাবে যোগাযোগও করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে, সোমবার (৮ নভেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে সংগঠনের নেতারা।
পণ্য পরিবহন খাতের মালিক-শ্রমিক নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠকে বসবেন। এরপর ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে রাত থেকেই পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল শুরু হবে। তবে সারা দেশে খবর পৌঁছানো এবং পুরোদমে চালু হতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
ডিজেলের বাড়তি দাম প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিকরা। সে ধর্মঘট নিরসনে রাতে বৈঠকে বসছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পণ্য পরিবহন খাতের মালিকেরা তিন দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে—
জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তারপুর সেতুর বর্ধিত টোল প্রত্যাহার এবং
সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় পণ্যবাহী যান থেকে টোল আদায় বন্ধ
গত বুধবার মধ্যরাত থেকে ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এর প্রতিক্রিয়ায় পরদিন থেকেই পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান বন্ধ করে দেন মালিকরা। শুক্রবার শুরু হয় সড়ক পরিবহন ধর্মঘট। শনিবার থেকে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়।
এর মধ্যে বাস ও লঞ্চমালিকদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসে রবিবার ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে সরকার। এরপর ধর্মঘট থেকে সরে আসেন বাস ও লঞ্চ মালিকরা। তবে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিকদের সঙ্গে কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।