যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ জুন) এ সিদ্ধান্ত নেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারির পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখবে তার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জননিরাপত্তা ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে তার অ্যাকাউন্ট ফেরত দেওয়া হবে। আর যদি থাকে তাহলে বাড়তে পারে এ নিষেধাজ্ঞা।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর চলতি বছরের ৬ জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাময়িক সাসপেন্ড হয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তার উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরেই অ্যাকাউন্ট সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
গত ৭ জানুয়ারি ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছিল। ওইদিন থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।
নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হওয়ার পরও যদি ট্রাম্প ফেসবুকের নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করেন তাহলে স্থায়ীভাবে তার অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন ফেসবুকের বৈশ্বিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ।
নিক ক্লেগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘ট্রাম্পের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কারণগুলো গুরুতর। আমরা বিশ্বাস করি যে তার পদক্ষেপগুলো আমাদের বিধিনিষেধ কঠোরভাবে লঙ্ঘন করেছে। তাই তার ওই পদক্ষেপ শাস্তি যোগ্য।’
এদিকে, ফেসবুকের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টিকে তিনি অপমান হিসেবে দেখছেন।
এক বার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘ফেসবুকের এই সিদ্ধান্ত ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমাকে যে ৭৫ মিলিয়ন মানুষ ও অন্যরা ভোট দিয়েছেন তাদের জন্য অপমানের। পরবর্তীতে আমি যদি হোয়াইট হাউজে যেতে পারি তাহলে মার্ক জুকারবার্গের অনুরোধে আর কোনো ডিনার হবে না। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক হবে ব্যবসায়িক।’
এ খবর দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট