তড়িঘড়ি করে বায়োটেক উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকার জরুরি অনুমোদন দেয়া নিয়ে ভারতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই রোববার স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত কোভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার।
বিবিসি জানিয়েছে, অনুমোদন দেবার প্রক্রিয়ায় তাড়াহুড়া করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করার পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন।
দেশটির স্বাস্থ্যবিষয়ক নজরদারি সংস্থা ‘অল ইন্ডিয়া ড্রাগ নেটওয়ার্ক’ এ সিদ্ধান্তে হতবাক হওয়ার কথা জানালেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, টিকার এই অনুমোদন ভারতের কোভিড পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেবে।
দ্য অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক বলছে, যে টিকা নিয়ে গবেষণাই এখনও শেষ হয়নি, কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় সেটি গণহারে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হল তা আমাদের কাছে বোধগম্য হচ্ছে না।
ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই কোভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন
ভারতের চিকিৎসকরাও।
রোববার অনুমোদন দেওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের ঝড় শুরু হয়েছে। এ নিয়ে টুইটারে সরকারি ও বিরোধীদলের নেতাদের কথার লড়াইও চলছে।
কংগ্রেসের একাধিক নেতা দাবি করেছেন, তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে যেন কোভ্যাকসিন দেওয়া না হয়। একই ধরনের আপত্তি জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এই সব অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, এসব বিতর্কের পিছনে আছে নিখাদ রাজনীতি। শশী থারুররা এই সব কথা বলে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছেন।
ভারতে দুইটি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড, যা তৈরি করছে পুনের সেরাম ইন্সটিটিউট।
দ্বিতীয়টি হলো ভারত বায়োটেক এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক রিসার্চের তৈরি করা কোভ্যাকসিন।