প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার এফ, এম শাহীনুর রহমানের উপর হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের গজেন্দ্রপুর গ্রামের মৃতঃ এবিএম আনিছুর রহমানের ছেলে এফ, এম শাহীনুর রহমান বাদী হয়ে ডুমুরিয়ার এক ইইপ সদস্যসহ ৮ জন এবং অজ্ঞান আরও ১৫/২০ জনকে আসামী করে উক্ত মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি বর্তমানে খুলনার পিবিআই পুলিশ তদন্ত করছে।
মামলার বাদী বর্তমনে যশোরের কেশবপুরের সদরের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা এফ, এম শাহীনুর রহমান এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ২৪ মে রাত ৮ টার দিকে তিনি খুলনার দৌলতপুর থেকে শাহাপুর হয়ে কেশবপুরের উদ্দেশ্য যাচ্ছিলেন। এ সময় ডুমুরিয়া উপজেলার মিকশিমিল বাজারের ১০০ গজ পূর্বে পাকা রাস্কার উপর তার গতিরোধ করে আসামী ডুমুরিয়া উপজেলা খলসি গ্রামের শেখ আমিনুল ইসলামের পুত্র শেখ রাসেল (৩৫), ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেবার আলীর ফকিরের পুত্র মোঃ আমজাদ ফকির (৫০), বাবর আলীর পুত্র নাসির (৫০), নেছার শেখের পুত্র জাহাঙ্গীর শেখ (৩৫), আরাজী সাজিয়াড়া গ্রামের মৃতঃ গফ্ফার সরদারের পুত্র সুজন সরদার (২৫), খাজুরা গ্রামের কওছার খলিফার পুত্র ফিরোজ খলিফা (৩৮) আরজী ডুমুরিয়া গ্রামের মৃতঃ দলিল উদ্দীনের পুত্র মোঃ হাফিজুর রহমান মহব্বত (৪২) সহ ১৫/২০ জন ।
এক পর্যায়ে তাকে বেদম মারপিট করে তার ব্যবহৃত হোন্ডা এক্সব্লেড ১৬৩ সিসি মটর সাইকেল (যার রেজিঃ নম্বর খুলনা-ল- ১১-৭৮৩৮) যার মূল্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, ব্যাগে রক্ষিত ৫০ হাজার টাকা, আই এফ আই সি ব্যাংকের দুটি চেক বই (যার হিসাব নং৪০৬০৪৩৯৬২৪০৩৫-৯১১৪৬১৭) যাতে আনুমানিক ১৭/১৮ টি পাতা রয়েছে সেগুলো ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয় এবং ২টি চেকের পাতা ও কয়েকটি খালি স্ট্যাম্পে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করে নেয়া হয়। এক পর্যায়ে ০১৯১১-৮৯৪১৩৭ মোবাইল নম্বর থেকে বাদীর স্ত্রী তালা ব্র্যাক অফিসে কর্মরত মোর্শেদা আক্তারের ব্যবহৃত ০১৭১২৩০৯৬৬৬ ও ০১৬০৮১৫৬৬২৪ ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে ঘটনাস্থলে আসতে বলে। তখন চাকুরীর সুবাদে মোর্শেদা আক্তার তখন ব্র্যাকের সাতক্ষীরা অফিসে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তিনি তাদের কথঅ মতো রাত ১১ টার দিকে ছুটে আসেন ডুমুরিয়া উপজেলার খলসি মাদ্রাসার সামনে। বিষয়টি তার ভাই (বাদীর বড় শ্যালক) এড. মোর্শারফ হোসেনকেও অবহিত করেন তারা। এদিকে বাদীর স্ত্রী ও তার সাথে আসা বাড়ির মালিক ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও আটকিয়ে রেখে টাকা ও চেক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি তাৎক্ষনিক ডুমুরিয়া থানার ওসিকে অবহিত করলে রাত দেড়টার দিকে রঘুনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মনির ও সঙ্গীয় ফোর্স সেখান থেকে উদ্ধার করে। তবে আসামীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এমনকি মটার সাইকেল, চেক বই, টাকা, কাগজপত্র কিছুই উদ্ধার হয়নি। পরিদন মামলা করতে গেলে বাদীর এজাহার অজ্ঞাত কারণে গৃহিত হয়নি বলে জানান এফ, এম শাহীনুর রহমানের। পরে বেশ কিছুদিন তিনি আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে তিনি বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আমলী আদালত, খুলনা অঞ্চল, খুলনাতে মামলাটি করেন। যার মামলা নং সিআর ৩২১/২২ (ডুমুরিয়া), ধারা- ১০৯/৩২৪/৩৬৪/৩৮৪/৩৮৬/৩৮৭/৩৪৬/৩৪/৩৯৪/৫০৬ দন্ডবিধি। খুলনা পিবিআই পুলিশ বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে অদ্যবধি কোন আসামী আটক না হওয়ায় এবং ছিনতাই হওয়ায় মটর সাইকেলসহ চেকবই উদ্ধার না হওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। অপরদিকে আসামীদের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরিবারটি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্দ্ধাতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।