চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃদুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।
লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এক অংশের মুখপাত্র অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অডিও রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে। ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ মনে করে, ডাকসু ভিপির নৈতিক স্খলন ঘটেছে, যা ডাকসুর গঠনতন্ত্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পরিপন্থি।’
তিনি বলেন, ‘ডাকসুর সর্বোচ্চ পদে থেকে তার এহেন কর্মকাণ্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব, ঐতিহ্য ও মার্যাদাকে কলুষিত করেছে। এর দায়ভার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠান নিতে পারে না। সেজন্য প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও নৈতিক মানদণ্ড সমুন্নত রাখার জন্য নৈতিক স্খলনে পতিত ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে আপোষ করা উচিত হবে না।’
ডাকসু ভিপির অপসারণের জন্য প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দ্রুত বিষয়টি সুরাহার জন্য স্মারকলিপি দেবে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’। এছাড়া ভাকসু ভিপিকে অপসারণ করে মর্যাদা ও সম্মান সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।’
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন নুরুল হক নুরের পদত্যাগের দাবিতে পাঁচ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী ১১ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি পেশ; ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও র্যাব মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি পেশ; ১৭ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘Vote of Censure’-এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল, বিভাগ ও বাস রুটে স্বাক্ষর অভিযান; বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর যদি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তার পদত্যাগ বা অপসারণ না হয়, তাহলে আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ডাকসু ভবন বা উপাচার্য বাসভবনের পাদদেশে গণ অনশন এবং স্বাক্ষর অভিযান শেষে জানুয়ারি মাসে যে কোনা সময়ে ডাকসু গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৪ অনুসারে ‘Vote of Censure’ প্রস্তাব করবে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’।