৭ জানুয়ারি নির্বাচনে দুটি ফলাফল হয়েছে- একটি ৭ শতাংশ আওয়ামী লীগকে চেয়েছে। বাকি ৯৩ শতাংশ মানুষের নেতা তারেক রহমান। লাজলজ্জা থাকলে পদত্যাগ করে নির্বাচন দেন উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, বাংলাদেশের তৃণমূলের সর্বস্তরের জনগণ বিএনপির সাথে আছে। বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। একদলীয় সরকারের অধীনে সাজানো ‘ডামি’ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে ভয়াবহ হাহাকার চলছে। ঘরে ঘরে ক্ষুধার আর্তনাদ বাতাসে ভেসে আসছে । জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। প্রহসনের নির্বাচনে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে নষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনীতিকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি ধ্বংসযজ্ঞে পরিনত হলো। অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। পদত্যাগ না করলে দেশের জণগনের তোপেরমুখে তারা পালানোর পথখুজে পাবে না।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার শুধু দেশবাসীর সাথে নয়, বিদেশীদের সাথেও প্রতারণা করেছে। ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে অভিনন্দনের নামে বিদেশীদের ভূয়া বিবৃতি প্রকাশ করে সরকার নিজেদের দেউলিয়াত্ব আবারো প্রমাণ করেছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর ও জেলার উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে, বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচি অংশ হিসেবে কালো পতাকা মিছিল পুর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রিপন আরো বলেন, জুলুমবাজ সরকারের কথায় বন্দুক ওঠা নামা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগের বিশেষ বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিচার বিভাগ পুরোপুরিভাবে সরকার নিয়ন্ত্রিত মানুষের ন্যায় বিচার প্রাপ্তির ন্যূনতম নিশ্চয়তা নেই। চোরকে চোর বলতে হবে, ডাকাতকে ডাকাত বলতে হবে। কথিত স্মার্ট বাংলাদেশের নামে ডিউটি ফ্রি স্মার্ট চুরি হচ্ছে। চোরের দল লুটেপুটে দেশটাকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিনত করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। নতুন কায়দায় দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে দেশ ধ্বংস করছে। আর বিএনপির দেশ বাঁচানোর জন্য আন্দোলন করছে। বর্তমান সরকারের চেয়ে বড় অপশক্তি কি দেশে আছে? এই অপশক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে বলেই এখনো চালের দাম বাড়ছে। তেলের দাম বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সীমাহীন মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎবিহীন দেশে পরিণত করেছে। এই সরকার যদি বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে এই দেশটাকে হায় হায় দেশ বানিয়ে ছাড়বে। সুতরাং এই হায় হায়, খাই খাই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। জনগনের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক স ম আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক শেখ সাদীর পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বেগম রেহেনা ঈসা, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, শেখ তৈয়বুর রহমান, শামীম কবীর, আশরাফুল আলম খান, শামসুল আলম, এনামুল হকসহ অনেকে। সমাবেশ শেষে নগরীতে কালোপতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল ৩টা থেকে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা খন্ড খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন।