তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশানুযায়ী প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদে পৌঁছেছে। আমি তার সুস্থতা এবং মঙ্গল কামনা করি।’ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকবৃন্দ তার দপ্তরে এলে তাদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তার এই ঘটনাগুলো আসলে দু:খজনক। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি আমাদের কোনো কাজে কখনো বাধা হয়ে দাঁড়াননি বরং ডা. মুরাদ হাসান আমাকে সবসময় সহযোগিতা করে এসেছেন। সেজন্য তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’ সেই সাথে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে তার মধ্যে আমি কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। তার কিছু বক্তব্য ও ঘটনা সরকার এবং দলকে বিব্রত করেছে। সেকারণে প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করার জন্য বলেছেন এবং সে অনুযায়ী তার স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্র তার জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি ইতিমধ্যেই তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নিয়ে গেছেন।’ ডা. মুরাদ হাসানের দলীয় সদস্য পদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি যেহেতু জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, দলীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেটি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ বলতে পারবে। সংসদ সদস্য পদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্য এবং বিষয়টি জাতীয় সংসদের। এসময় সাংবাদিকরা ‘ডা. মুরাদ হাসান বলতেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেই বিভিন্ন মন্তব্য করেন’ বিষয়টি তুলে ধরলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে কিছু বলেছেন বলে আমার জানা নেই। আমি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবেও কাজ করেছি। দল বা সরকার বিব্রত হয় এমন কোনো কথা বা কর্মকান্ড প্রধানমন্ত্রী কখনো কারো জন্যই অনুমোদন করেন না।’