মৃত প্রসূতির স্বজনদের হামলায় নিহত ডা. আব্দুর রকিব খান হত্যা মামলায় গ্রেফতার পাঁচ আসামির মধ্যে খাদিজা নামের একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুর রহিম নামে অপর এক আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গ্রেফতার অপর তিন জন এখনও খুলনায় এসে পৌঁছায়নি। তাদের গাজীপুর থেকে গ্রেফতারের পর খুলনায় আনা হচ্ছে।
ডা. রকিব খান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিএম মনিরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার পর খাদিজাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। অপর আসামি রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। অন্য তিন জনকে খুলনায় আনার পর আদালতে হাজির করা হবে।
তিনি আরও জানান, ডা. রকিব খান হত্যা মামলার আসামি খাদিজা (৪৫) ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। অপর আসামি আব্দুর রহিম (৩৮) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলাম।
এদিকে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ খুলনা জেলা শাখা রকিব খানের ওপর হামলা ও নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। জেলা শাখার সভাপতি প্রশান্ত কুমার রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি শাওন শিকদার, সাধারণ সম্পাদক সুমন মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌরভ হালদার, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাস সরকার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তাসনিম নিশা, কার্যনির্বাহী সদস্য শরিফুল ইসলাম, অমিত মন্ডল, সুমন সানা, প্রলয় যোদ্দার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৫ জুন খুলনা বিএমএর আজীবন সদস্য বাগেরহাট ম্যাটসের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুর রকিব খান (৫৯) তার হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন। তাকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর স্বজনরা কৌশলে বাইরে ডেকে মারধর করেন। পরে ক্লিনিকের স্টাফরা তাকে প্রথমে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রতে (আইসিইউ) ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৬ জুন দুপুরে দ্রুত তাকে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রতে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।