অনলাইন ডেস্কঃসিলেট কারা কর্তৃপক্ষের ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিকের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধারকৃত ঘুষ-দুর্নীতির ৮০ লাখ টাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।সোমবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নিয়ে শেরপুর সদর উপজেলার বালুঘাট গুচ্ছগ্রাম এলাকায় বন্যাকবলিত বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের আগে বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
দুদক কর্তৃক ওই টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জেলখানায় বেশিরভাগ লোক বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের, সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো লোক নেই। এই যে ঘুষের টাকা, এই টাকাগুলো কাদের, এই টাকা আমাদের। আমাদের যারা জেলে আছে তাদের।
তিনি আরও বলেন, এই টাকা গুলি যদি দিতে না হতো তা হলে আরও ৮০ লাখ টাকার বেশি ত্রাণ সামগ্রী আমরা বন্যার্তদের জন্য আনতে পারতাম। এই সরকার আমাদেরকে আনতে দিল না। আমাদের গ্রেফতার করে রেখে, আমাদেরকে শোষণ করে কিছু কিছু লোককে বড় করে দিচ্ছে সরকার।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা শুনলাম যখন শেরপুরের কৃষক তাদের সবজিসহ সবকিছু হারিয়েছে। তখন আইটি পার্ক করার জন্য জায়গা দেখা হচ্ছে। আইটি পার্ক ভাল জিনিস। আমরা বলি আইটি পার্ক দরকার। কিন্তু আমি যখন ক্ষুধার্ত, তখন আমার প্রথম দরকার খাবার, আইটি না।
নজরুল ইসলাম খান দাবি করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কৃষক আবার নতুন ফসল ফলাতে না পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত কৃষকদের খাবার, কৃষিঋণ মওকুফ এবং সার-বীজ-কীটনাশক বিনা পয়সার দিতে হবে।
শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে ওই ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এজেএম জাহিদ হোসেন, মোহাম্মদ শাহজাহান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুল্লাহ আল মামুন, জাকির হোসেন বাবুল ও জেলা বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সোমবার শেরপুর সদর উপজেলার বালাঘাট গুচ্ছগ্রামে এবং নৌকায় ঘুরে ঘরে নয়া ভাগলদী ও চরমোচারিয়ার এলাকায় ২ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
ত্রাণের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, লবন, মশার কয়েল, ওরস্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী।