সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বুধবার , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ডুমুরিয়ায়‌ খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত গাছিরা | চ্যানেল খুলনা

ডুমুরিয়ায়‌ খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত গাছিরা

শেখ মাহতাব হোসেন :: হেমন্তের বাতাসে শীতের হিম হিম স্পর্শ। ভোরে কুয়াশার আঁচল সরিয়ে শিশিরবিন্দু মুক্তোদানার মতো
দ্যুতি ছড়াতে শুরু করেছে। গ্রামের মাঠজুড়ে কাঁচা-পাকা ধানের মাতাল গন্ধ। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খুলনার ডুমুরিয়ায়  উপজেলার বেশ কিছু  গাছিরা। খেজুর গাছ থেকে রস আহরণের জন্য দা ও কোমরে
দড়ি বেঁধে খেজুর গাছে উঠে নিপুণ হাতে গাছ প্রস্তুত করছেন অনেকে।
সম্প্রতি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গাছিদের খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে দেখা গেছে।
আগে খুলনাঞ্চলের গ্রামগুলোতে মাঠে আর মেঠোপথের ধারে সারি সারি খেজুর গাছ থাকলেও ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে গাছটি। তবে কিছু গাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে।
জানা গেছে, এক সময় এ জেলার যেখানে-সেখানে সারিবদ্ধভাবে নয়ন জুড়ানো খেজুর গাছের দৃশ্য চোখে পড়তো। আধুনিকায়ন ও নগরায়নের ফলে বাংলার ঐতিহ্যের অংশ এই খেজুর গাছ আজ বিলুপ্ত প্রায়। ইটভাটায় অবাধে খেজুর গাছ পোড়ানোর কারণে গাছ কমে গেছে।
গাছিরা জানান, খেজুরের রস সংগ্রহের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে গাছ ঝুড়ার কাজ শুরু করেছেন তারা। এ বছর আবহাওয়াটা অনুকূলেই রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়া যাবে।
আক্ষেপ করে তারা বলেল, আগের মতো গাছ নেই। যেসব গাছ আছে সেগুলোতে তেমন রসও নেই। এখন যেটুকু রস ও গুড় পাওয়া যাচ্ছে আগামী কয়েক বছর পর হয়তো এ গাছের আর দেখাই মিলবে না।
ডুমুরিয়ার খর্নিয়া ‌ইউনিয়ানের টিপনা গ্রামের গাজি ওসমান মোল্লা নামের এক গাছি বলেন, খেজুর গাছ কমে গেছে। আগের মতো রস হচ্ছে না। অথচ রসের চাহিদা বাড়ছে।
তিনি জানান, খেজুরের রস ও গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় হরেক রকমের পিঠা-পুলি, ক্ষির ও পায়েস। চাহিদার তুলনায় খেজুরের রস ও গুড় কম হওয়ায় দাম অনেক বেশি।   ডুমুরিয়া ‌উপজেলা সিনিয়র  মৎস্য  কর্মকর্তা মোঃ আবুবক্কর সিদ্দিক আমাদের ডুমুরিয়া প্রতিনিধি শেখ মহাতাব হোসেনকে জানান ‌যেতুক আমার ‌দেশের‌‌ বাড়ি মনিরামপুরে , মৌসুমের শুরুতে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হওয়ায় একা সম্ভব হয় না। গাছের আগা কাটার জন্য অবশ্য শ্রমিকদের ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা মজুরি দিয়ে গাছ কাটাতে হয়।
‘রস সংগ্রহের সময় অর্থাৎ শীত মৌসুমের পুরো চার মাসজুড়ে বাড়িতে খেজুরের গুড় ও পাটালি তৈরি করা হয়। ওই সময় অনেকের আবার খেজুর গাছ কেটেও সংসার চলে।
এ মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা রূপদিয়া, বসুন্দিয়া, ছাতিয়ানতলা ও খাজুরা, মণিরামপুর ও রাজগঞ্জ বাজারে গুড়ের হাটে হাজির হয়। জেলার সবচেয়ে বড় খেজুর গুড়ের হাট বসে রূপদিয়া, মণিরামপুর ও রাজগঞ্জে।
তারা এসব হাট থেকে খেজুরের গুড় ও পাটালি কিনে সারা দেশে সরবরাহ করেন। এখানকার কারিগরদের পাটালি তৈরিতে সুনাম
থাকায় খেজুরের গুড়-পাটালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশের অন্যান্য জেলায় এমনকি দেশের বাইরেও। অনেক ব্যবসায়ী সরাসরি গাছিদের কাছে অর্ডার দিয়ে পাইকারি মূল্যে কিনে দেশের বাইরেও সরবরাহ করে থাকেন যশোরের সুস্বাদু এই গুড়-পাটালি।’
শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু এলাকার গাছিরা সকাল থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খেজুর গাছ ঝুড়ার কাজে। কয়েকদিন পরেই এসব গাছ থেকে শুরু হবে রস সংগ্রহ।
খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ ‌সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, আগের মতো খেজুর গাছ নেই। আগে উপজেলার অনেক পরিবার আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খেজুর গাছের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তা এখন আর নেই।  গ্রামের গাছে রস হলেও শহরের মানুষ কিনে নিয়ে যায় বলে গ্রামের মানুষ রস পায় না।
চুকনগরের ইব্রাহিম নামের এক সাংবাদিক জানান, ৬-৭ বছর আগেও গ্রামে প্রায় প্রতি বাড়িতে খেজুরের রস পাওয়া যেত।
কিন্তু প্রায় বিলুপ্তির পথে রসের এই বহুবিধ ব্যবহারের মূল্যবান গাছটি। তীব্র এ রস সংগ্রহের মৌসুমে গাছির সংকটও রয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, ডুমুরিয়া উপজেলা কি পরিমাণ খেজুর গাছ আছে বা ছিলো তার পরিসংখ্যান নেই। তবে এটা বলা যাচ্ছে দিন দিন খেজুর গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। যেসব এলাকায় খেজুর গাছ আছে সেগুলোর রস সংগ্রহে গাছির সংকট দেখা দিয়েছে। খেজুর গাছের গুরুত্ব থাকলেও কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। আগের মতো বাড়ির আশপাশে ও সড়কের পাশে খেজুর গাছ দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্যের দেখা মিলছে না ।

https://channelkhulna.tv/

কৃষি ভাবনা আরও সংবাদ

জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ সমস্যা সমাধানের ২০ এপ্রিল খুলনায় দিনব্যাপী নদী মেলা

বিট কপির চাষ করে তাক লাগিয়ে‌ছেন ডুমুরিয়ার কৃষক সুরেশ্বর মল্লিক

উপকূলয়ীয় অঞ্চল পাইকগাছায় বুলেট মরিচের বাম্পার ফলন

স্কোয়াশ চাষে ঝুঁকছেন খুলনার কৃষকরা

আমের মুকুল সৌরভ ছড়াচ্ছে পাইকগাছায়

উপকূলীয় অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিডলিং ট্রেতে চারা উৎপাদন

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
উপদেষ্টা সম্পাদক: এস এম নুর হাসান জনি
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: শেখ মশিউর রহমান
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
ঢাকা অফিসঃ ৬৬৪/এ, খিলগাও, ঢাকা-১২১৯।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্তির জন্য আবেদিত।