শেখ মাহতাব হোসেন:: খুলনার ডুমুরিয়ায় অল্প জমিতে বেশি মুনাফা পেতে বাঁধাকপির ক্ষেতে ভুট্টা চাষ করে আলোড়ন ফেলেছেন চাষি মোঃ আজিজুর রহমান ফকির একই সার ও কীটনাশকে বাঁধাকপি উঠে গিয়ে পুষ্ট হচ্ছে ভুট্টা গাছ। ডুমুরিয়া উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের ছোট কালিকা পুর এলাকার একজন সফল সবজি চাষি।
তিনি বলেন তার নিজস্ব ২৭ শতাংশ জমিতে প্রতিবছর বিভিন্ন জাতের সবজির চাষ করেন। পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে এই অল্প জমিতে ভালো মুনাফা ও অধিক আয় করতে একই জমিতে একাধিক ফসল চাষের পরিকল্পনা নেন তিনি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বাঁধাকপি চাষ করেন তার জমিতে। বাঁধাকপি চারা বড় হলে শেষ নিড়ানিতে কপি ক্ষেতের মধ্যে ভুট্টার বীজ বপন করেন। একই সেচ, সার ও কীটনাশকে পরিপক্ক হয়ে উঠে বাঁধাকপি ও ভুট্টা। ইতোমধ্যে বাঁধাকপি ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করে বাজারজাত শুরু করেছেন। বাঁধাকপি উঠে গেলে একক ফসল হিসেবে বড় হবে ভুট্টা গাছ। এভাবে, একই জমিতে এক ফসলের খরচে কালিকাপুর গ্রামের জাবেদ আলী ফকিরের ছেলে মোঃ আজিজুর ফকির, তার ঘরে আসছে দুইটি ফসল।
তিনি আরো জানান, তার ২৭ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি ও ভুট্টা চাষে খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। ভুট্টা ঘরে তোলা পর্যন্ত তার আরো হাজার টাকা খরচ হবে। এ পর্যন্ত তিনি ২০ হাজার টাকার বাঁধাকপি বিক্রি করেছেন। আরো পাঁচ হাজার টাকার বাঁধাকপি ক্ষেতেই রয়েছে। এছাড়াও ভুট্টা থেকে ১২/১৫ হাজার টাকা আয় করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মোঃ আজিজুর রহমান ফকির বলেন, স্বল্প জমিতে অল্প খরচে অধিক মুনাফা পেতে ফুল/বাঁধাকপি ক্ষেতে ভুট্টা চাষ খুবই লাভজনক। ভুট্টা গাছ বড় হয়ে ছায়া দেওয়ার আগেই কপি উঠে যাচ্ছে। তাই ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। তার এই চাষ পদ্ধতি দেখে গ্রামের অনেকেই আগামী মৌসুমে সহায়ক ফসল চাষের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এজন্য চাষিরা তার কাছ থেকে চাষ পদ্ধতি জানতে পরামর্শ নিচ্ছেন।
ডুমুরিয়া বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী মোঃ আজহারুল ইসলাম সরদার জানান, ধর্ম নারায়ণ একজন দক্ষ চাষি। সব সময় ফসলের ফলন বাড়ানো নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। ফসলই তার প্রাণ। একই জমিতে দুই ফসল চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন তিনি।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, একই জমিতে দুইটি ফসল চাষ বেশ লাভজনক। শুধু কপি ক্ষেতে নয়, আলু ক্ষেতেও সহায়ক ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষ বেশ লাভজনক। অল্প জমিতে বেশি মুনাফা পেতে বাঁধাকপির ক্ষেতে ভুট্টা চাষ করে আলোড়ন ফেলেছেন চাষি আমির হামজা বলেন। একই সার ও কীটনাশকে বাঁধাকপি উঠে গিয়ে পুষ্ট হচ্ছে ভুট্টা গাছ।
ডুমুরিয়া উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকার একজন সফল সবজি চাষি। তার নিজস্ব ২৭ শতাংশ জমিতে প্রতিবছর বিভিন্ন জাতের সবজির চাষ করেন। পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে এই অল্প জমিতে ভালো মুনাফা ও অধিক আয় করতে একই জমিতে একাধিক ফসল চাষের পরিকল্পনা নেন তিনি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বাঁধাকপি চাষ করেন তার জমিতে। বাঁধাকপি চারা বড় হলে শেষ নিড়ানিতে কপি ক্ষেতের মধ্যে ভুট্টার বীজ বপন করেন। একই সেচ, সার ও কীটনাশকে পরিপক্ক হয়ে উঠে বাঁধাকপি ও ভুট্টা। ইতোমধ্যে বাঁধাকপি ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করে বাজারজাত শুরু করেছেন। বাঁধাকপি উঠে গেলে একক ফসল হিসেবে বড় হবে ভুট্টা গাছ। এভাবে, একই জমিতে এক ফসলের খরচে মোঃ আজিজুর রহমান ফকিরের্যঘরে আসছে দুইটি ফসল।
তিনি আরো জানান, তার ২৭ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি ও ভুট্টা চাষে খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। ভুট্টা ঘরে তোলা পর্যন্ত তার আরো হাজার টাকা খরচ হবে। এ পর্যন্ত তিনি ২০ হাজার টাকার বাঁধাকপি বিক্রি করেছেন। আরো পাঁচ হাজার টাকার বাঁধাকপি ক্ষেতেই রয়েছে। এছাড়াও ভুট্টা থেকে ১২/১৫ হাজার টাকা আয় করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ডুমুরিয়া উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনিকা মন্ডল জানান কালিকাপুর ব্লোকে একজন কৃষক আজিজুর রহমান ফকির মাত্র ২৭ শতক স জমিতে অল্প খরচে অধিক মুনাফা পেতে ফুল/বাঁধাকপি ক্ষেতে ভুট্টা চাষ খুবই লাভজনক। ভুট্টা গাছ বড় হয়ে ছায়া দেওয়ার আগেই কপি উঠে যাচ্ছে। তাই ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। তার এই চাষ পদ্ধতি দেখে গ্রামের আমির হামজা মফিজুর হালদার সহ অনেকেই আগামী মৌসুমে সহায়ক ফসল চাষের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এজন্য চাষিরা তার কাছ থেকে চাষ পদ্ধতি জানতে পরামর্শ নিচ্ছেন।