ডুমুরিয়া উপজেলায় পৃথক ঘটনায় এক বৃদ্ধাসহ ৩জন মারা গেছে। নিহত ৩জনই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। থানা পুলিশ লাশের সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। পুলিশ ও স্থায়ীয় সুত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনটি ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হল গজেন্দ্রপুর গ্রামের সুজয় বৈরাগী (২৮), রুপরামপুরের সমিরণ বিশ্বাস (২২) ও চন্ডিপুরের যমুনা ঘোষ (৭৬)। এদের মধ্যে নিহত সুজয় বৈরাগী হল রঘুনাথপুর ইউনিয়নের গজেন্দ্রপুর গ্রামের মধুসুধন বৈরাগীর ছেলে। সে গতকাল বুধবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়রা তাকে পাশের বাগানের একটি খৈ গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। ওই মুহুর্তে বাড়ির লোকজন তাকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। নিহত অপরজন হল সমিরণ বিশ্বাস। সে রঘুনাথপুর ইউনিয়নের রুপরামপুর গ্রামের দিনেশ
বিশ্বাসের ছেলে। বাড়ির পাশে একটি আম গাছের সাথে গলায় দড়ি পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে ছিল। গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে স্থানীয়রা তাকে ওই অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার ও সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এছাড়া নিহত অপর জন হল যমুনা রানী ঘোষ। সে মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের বীরেন্দ্রসাথ ঘোষের স্ত্রী। গতকাল বুধবার দুপুরে সে তার নিজের ঘরের আড়ার সাথে গলায় দড়ি পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে ছিল। তারও সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ সেখ কনি মিয়া জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ৩জনই আত্নহত্যা করেছে। তারমধ্যে বৃদ্ধার বিষয়ে জানা গেছে, সে দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত ছিল। এ কারণেই হয়তঃ সে আত্নহত্যা করতে পারে। আর অপর দু জন বিষয়ে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পারিবারিক কলহ ও অভিমানে আত্নহত্যা করেছে। সেক্ষেত্রে ৩টি লাশই সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে নিহত সমিরণ বিশ্বাস ও সুজয় বৈরাগী কি কারণে মারা গেছে, এটা নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।