শেখ মাহতাব হোসেন :: খুলনার ডুমুরিয়ায় মেসার্স বিশ্বাস কার্প ও বাহারি মাছের হ্যাচারি এর স্বত্বাধিকারী খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা গ্রামের মৃত্য বিলায়েত বিশ্বাসের ছেলে মোঃ হেমায়েত বিশ্বাস, তিনি ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম-ফেজ প্রজেক্ট (এনএটিপি-২ডুমুরিয়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুবকর সিদ্দিকের পরামর্শ নিয়ে একুরিয়ামে মাছ পালনের মাধ্যমে আয় সূচনা কথা ও কেস স্টাডি বসত বাড়ি কিংবা অফিসের ভেতরের শোভা বৃদ্ধির জন্যে বহুকাল যাবৎ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের মানুষেরা ও একুয়ারিয়ামে মাছ রাখার কিংবা মাছ পালবার একটা শখ ছিল। বহুদিনের এই শখটি এখন একটি প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যে রূপ নিয়েছে। এখন একুয়ারিয়াম শুধুই একটি কাচের আধায় নয়, এটি একটি উপার্জনের উৎসও বটে। কথা হচ্ছিল সাবেক ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সরোজ কুমার মিস্ত্রী তার অফিসে বসে কথা হয়। মোঃ হেমায়েত বিশ্বাস,এখন বাহারি মাছের একজন ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। সে শিক্ষাকতার পাশাপাশি সামাজিক অবক্ষয়ের স্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছিল হেমায়েত নিজেকে, কিন্তু বাহারি মাছ তাকে নতুন পথের সন্ধান দিয়েছিল। শখের বসে হেমায়েত বহুদিন আগে থেকেই বাহারি মাছ পালত। হঠাৎ একদিন লক্ষ্য করল একটি গোল্ডফিশ অনেকগুলো বাচ্চা দিয়েছে। সোনার টুকরের মতো দেখতে এই গোল্ডফিশ হেমায়েত বিশ্বাসের ভাগ্য ফিরিয়ে দিল। বাহারি মাছ পালার শখটি বাহারি মাছ চাষে রূপান্তরিত হয়ে গেল। গোল্ড ফিশের বাচ্চাগুলো সে ঢাকার কাঁটাবন মসজিদ সংলগ্ন বাহারি মাছের বাজারে বিক্রি করে কিছুটা মুনাফা পেল। এ থেকে গুরু হল তার পরিবর্তন। এখন সে একজন বাহারি মাছের পোনা উৎপাদক বা ব্রীডার। মাসে তার না হলেও দশ থেকে বারো হাজার টাকা আয় হয়। সে এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত একজন যুবক। কাঁটাবন মসজিদ সংলগ্ন বাহারি মাছের মতো এমন আরও কয়েকজনের সাথে পরিচয় ঘটল যারা বাহারি মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত। তালুকদার এদের একজন। ঢাকার হাতিরপুল এলাকায় তার নিজ বাড়িতে বাহারি মাছের এক বিশাল হ্যাচরি দেখে এ মাছ ব্যবসায় বাংলাদেশ কতদূর এগিয়ে গেছে তা অনুধাবন করতে পারলাম। সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার হল, এক্ষেত্রে যতটুকু উন্নয়ন ঘটেছে তার পুরোটাই প্রাইভেট সেক্টর বা ব্যক্তি উদ্যোগে। তালুকদার সাহেবই এদেশে সর্বপ্রথম বাহারি মাছ আমদানি করেছিলেন। আবার তিনিইি সর্বপ্রথম এদেশ থেকে বাহারি মাছ রফতানি করলেন ‘৯২-এ। এখন বাংলাদেশ নিয়মিত বাহারি মাছ রফতানি করে। বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতেই সবচেয়ে বেশি বাহারি মাছ রফতানি হয়। এখানে একটি মজার ব্যাপার আছে- আর তা হল ক্ষেত্রবিশেষে পৃথিবীর অন্য প্রান্তের বা দেশের টেবিল ফিশ আমাদের দেশে কাচের আধারে বাহারি মাছ হিসাবে গণ্য হয়। আবার আমাদের দেশের টেবিল ফিশ যেমন- টেংরা, পুঁটি, বাইন, গুতুম, টাকি, খলিসা, মেনি- এগুলোর ইউরোপের বাজারে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একুয়ারিয়াম ফিশ হিসাবে চাহিদা রয়েছে। অনেকে আছেন সোহেলের মতো মাছ পালতে পালতে ব্যবসায়ী হয়েছেন। যেমন- ঘরে একুয়ারিয়াম আছে, মাছ বড় হচ্ছে, বাচ্চা দিচ্ছে। এগুলো বিক্রি করছে। এতে বাড়তি কিছু আয় আসছে, মন্দ কি! অনেকটা মাছের তেলে মাছ ভাজারই মত। যা হোক, একুয়ারিয়ামে কিভাবে মাছ পালবেন, কোথায় একুয়ারিয়াম সাজাবেন, মাছকে কী খাবার দেবেন-সে সম্পর্কে এখন বলছি : একুয়ারিয়ামরে বিভিন্ন আকার রয়েছে। ঘরে রাখার জন্য ২৪”×১২”×১২” একুয়ারিয়ামই উপযুক্ত। একুয়ারিয়ামের ফ্রেমগুলো মজবুত ধাতব পদার্থের তৈরি এবং চতুর্পাশ্বে ও তলার কাচ অন্তত ০.২৫” পুরু হওয়া প্রয়োজন।
একুয়ারিয়ামের মাছ রাখার জন্য নিম্নোক্ত কাজগুলো পর্যায়ক্রমে করতে হবে-
পরিষ্কার থিতানো পানি দিয়ে একুয়ারিয়ামের ভেতরে এবং বাইরে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
কখনও সাবান বা অন্য কোন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা যাবে না। তবে লবনের ঘন দ্রবণ ব্যবহার করা যেতে পারে।
পরিষ্কার মোটা দানার বালি সংগ্রহ করে উপরে বর্ণিত পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
ধৌত করা বালি একুয়ারিয়ামের তলদেশে ৪ ইঞ্চির মতো গভীর করে ভালোভাবে বসাতে হবে।
পানি ভর্তি করার আগেহ একুয়ারিয়ামকে বাড়ির নির্দিষ্ট স্থানে সেট করতে হবে সেট করার সবচেয়ে উত্তম জায়গা হল ঘরের উত্তর সাইডের জানালা পাশর্্ব যেখানে দিনে আশিংক সূর্যালোক পড়ে।
৬. এবার থিতানো ক্লোরিনমুক্ত পানি দ্বারা একুয়ারিয়াম পূর্ণ করতে হবে। পানির উপরিতল একুয়ারিয়ামের উপরিতল থেকে ৩ ইঞ্চি বা ৪ ইঞ্চির মতো নিচে হতে হবে।
জলজ উদ্ভিদ বালির মধ্যে লাগাতে হবে এবং সুন্দর (প্রয়োজনে রংযুক্ত/রঙ করা) নুড়িপাথর/ছোট পাথরের টুকরা দ্বারা গাছের গোড়াকে ঢেকে দিতে হবে। নানা ধরনের জলজ উদ্ভিদই একুয়ারিয়ামের রোপন করা যায়। এ ব্যাপারে শালুক, ঝাঁজি, ঝাউঝাঁজি, পাতা কাটা শেওলা, জলজ পদ্ম, শাপলা ইত্যাদি জলজ উদ্ভিদগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
একুয়ারিয়ামের বেশিসংখ্যক মাছ ছাড়ার চেয়ে অল্পসংখ্যক সুন্দর সুস্থ ও সবল মাছ ছাড়াই উত্তম। নিয়মানুযায়ী ১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের মাছের জন্য প্রায় ১ গ্যালন পরিমাণ পানির প্রয়োজন। সেই হারে ২৪ ইঞ্চি দ্ধ ১০ ইঞ্চি দ্ধ ১২ ইঞ্চি মাপের একুয়ারিয়ামে ১/১.৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এক ডজন মাছ অনায়াসেই স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে এবং এদের শ্বাসকার্যের ব্যাঘাত ঘটতে দেখা যায় না। আমাদের দেশীয় মাছের মধ্যে বউ মাছ, রঙিন খলিসা, চিংড়ি, পুঁটি, টেংরা, চান্দা, কানপোনা, বেলে মলা, কই, মাগুর ইত্যাদি এবঙ বিদেশি মাছর মধ্যে গাপ্পি না রঙের সোর্ড টেইল, মলি, প্লাটি, এনজেল, জেরা, রঙিন তেলাপিয়া ইত্যাদি মাছ একুয়ারিয়ামে ছাড়া যেতে পারে।
মাছের খাদ্য
বাজারে একুয়ারিয়াম মাছর বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। এগুলো মাছের দেহের ওজনের ৫% করে সকালে ও বিকালে দুবার খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়া ফিশমিল ও ভূষি ১:২ অনুপাতে একত্রেও অল্প পানিতে মিশিয়ে ছোট ছোট দানা করে একটা বাটিতে রেখে একুয়ারিয়ামের তলায় রাখতে হবে। অনেক সময় কেঁচো, টিউবিফিক্স, ভাত ইত্যাদি খাবার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। খাবার সমস্ত জায়গায় না ছিটিয়ে নির্দিষ্ট ২ বা ৩ হায়ড়ায় দিতে হবে।
প্রতিদিন ২ বা ৩ ঘন্টার জন্য সূর্যকিরণে একুয়ারিয়াম রাখা উত্তম। তবে অপরিহার্য নয়। এর ঢাকনার ভেতর দিকে থেকে টিউব লাইট এর আলো দ্বারা একুয়ারিয়ামকে আলোকিত করা যায়। পর্যাপ্ত আলোর প্রভাবে একুয়ারিয়ামকে আরও মনোরম দেখায়। এ ব্যাপারে ৬০ ওয়াটের ইলেকট্রিক বাল্ব ব্যবহার করা যেতে পারে। আগেই বলেছি, বাংলাদেশে বাহারি মাছ আজ যে পর্যায়ে এসেছে। তার পুরোটাই ব্যক্তি উদ্যোগে, এর তেমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেই। কেউ যদি এ বিষয়ে পরামর্শ বা নির্দেশনা চান তবে তো দেয়া সম্ভব হয় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি যে, একুয়ারিয়ামে ফিশের উপর টিভি অনুষ্ঠান প্রচারের পর উল্লেখ যোগ্যসংখ্যক চাহিদা আসা সত্ত্বেও তার সমাধান দেয়া সম্ভব হয়নি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়া, যশোহর সহ বড় বড় শহরে একুয়ারিয়াম ফিশের ছোট-বড় মার্কেট আছে ঠিকই, কিন্তু এগুলো একেবারেই নিজেদের চেষ্টায় দাঁড়িয়েছে। এই ক্ষেত্রটিতে একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে, যা উদ্যোক্তারা প্রমাণ করছেন। সে ক্ষেত্রে সরকার চাইলে এ বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারে।
তথ্য সূত্র: শাইখ সিরাজ রচিত ‘মাটি ও মানুষের চাষবাস’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহীত
গোল্ড ফিশের প্রজনন, শখ থেকে আয়
গোল্ডফিশে
বর্তমান বিশ্বে স্বচ্ছল মানুষের ঘরে অ্যাকুরিয়াম অন্যতম শোভাবর্ধক অংশে পরিণত হয়েছে। ২০০৭ সালে বিশ্বে অন্তত এক মিলিয়ন অ্যাকুরিয়াম ফিশ বিক্রি হয়েছে যার মূল্য কয়েক বিলিয়ন টাকা। চমকপ্রদ তথ্য হলো এই বিপুল পরিমাণ মাছের ৬৫ ভাগ সরবরাহ করে এশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, চীন ও থাইল্যান্ড এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে।
অ্যাকুরিয়াম ফিশে মিঠাপানির ৪০০০ এবং লোনাপানির ১৪০০ প্রজাতির মধ্যে গোল্ড ফিশ অন্যতম। বর্ণিল কার্প জাতীয় এই মাছ আমাদের আবহাওয়ার সাথেও বেশ চাষোপযোগী। তাই স্বল্প পুঁজিতে এর চাষ করে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনা সম্ভব।
মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোল্ড ফিশের প্রজনন মৌসুম। এর আগেই উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থপনার মাধ্যমে এই মাছ সংগ্রহ কিংবা উৎপাদন করা প্রয়োজন। এরা ৮ সে.মি. লম্বা হলেই প্রজননক্ষম হয়ে ওঠে। পুরুষ গোল্ড ফিশের প্রজননক্ষম হলে মুখ, শরীর ও পায়খানায় সাদা ফুস্কুরি এবং স্ত্রী গোল্ড ফিশের পেট ফুলে যায় এবং নরম হয়ে যায়, পায়ুপথ ও বড় দেখায়। প্রজননের আগে পুরুষ ও স্ত্রী গোল্ড ফিস আলাদা করে রাখলে ভাল ফল পাওয়া যায়। ৪×১.৫×২ ঘনফুটের এ্যাকুরিয়াম তৈরি করে ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করে পরিস্কার পানি দিয়ে ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত ভর্তি করতে হবে। বেশি পানি ভরলে পানির চাপে ডিম ফোটা ব্যাহত হতে পারে। তিনটি পুরুষ ও দুইট স্ত্রী গোল্ড ফিশ একত্রে সেই অ্যাকুরিয়ামে ছাড়তে হবে। এ সময় তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রাখা ভাল। একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী গোল্ড ফিস ২০০০ পর্যন্ত ডিম ছাড়ে। স্ত্রী গোল্ডফিস ডিম ছাড়ার পর পুরুষগুলি দ্রুত ডিমের উপর বীর্য ছড়াতে থাকে। ডিম নিষিক্ত হলে মাছগুলো আলাদা করতে ডিমগুলোকে তাড়াতাড়ি অন্য ট্যাংকে স্থানান্তর করা দরকার। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখ্যতে হবে যে পানির তাপমাত্রা যেন অবশ্যই সমান থাকে। ডিমে ফাংগাস সংক্রমণ রোধ করার জন্য কয়েক ফোটা মেথিলিন ব্লু পানির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া যায়। যে ডিমগুলো স্বচ্ছ ও হালকা বাদামী বর্ণের সেগুলো নিষিক্ত ডিম। অন্য ডিম নষ্ট ডিম হিসেবে সরিয়ে ফেলা দরকার। ৩-৪ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে। ২-৩ মাস বয়সে পোনা বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। ৩ মাস পর আবারও সেই একই পুরুষ ও স্ত্রী মাছগুলোর প্রজনন করানো যায়।
ডিম ফোটার প্রথম ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রেনুকে কোন খাদ্য সরবরাহ করার দরকার হয় না। এরপর সেদ্ধ ডিমের কুসুম এবং আটা পেস্ট করে খুব ছোট পিলেট আকারে দেয়া যেতে পারে। অনেক সময় বাজারে রেনুর তরল খাবার পাওয়া যায়। ২ সপ্তাহ পর হতে ব্রাইন শ্রিম্প খাওয়ানো ভাল। ডিম থেকে রেনু বের হওয়ার প্রথম ৪ সপ্তাহ প্রতিদিন ৩ বার এবং ৪ মাস প্রতিদিন ২ বার করে খাবার প্রয়োগ করা যায়। ৪ মাস পর প্রতিদিন একবার খাবার দিলেই চলে। খাবার ব্যাপারে গোল্ড ফিশ বৈচিত্র পছন্দ করে। ভাসমান অথবা ডুবন্ত পিলেট আকারে খাদ্য দেয়া যায়। সব সময় একই খাবার ব্যবহার না করে ভিন্নতা আনা আবশ্যক। গোল্ড ফিশের খাবার নির্বাচনে উচ্চ শর্করা ও নিম্ন ফ্যাট সন্নিবেশ করা জরুরি। বেশি পরিমাণে খাবার দেয়া ঠিক না। ১-২ মিনিটে যতটুকু খাবার শেষ করে ততটুকুই খাবার সরবাহ করা দরকার। দিনে কোনভাবেই তিনবারের বেশি খাবার দেয়া ঠিক না।
অব্যহৃত খাদ্য ও অন্যান্য বর্জ্য যত দ্রুত সম্ভব অপসারণ করতে হবে। প্রতিমাসে একবার পানিতে এক চা চামচ পরিমাণ খাবার লবণ মিশিয়ে দিতে হবে।
পোনার বয়স একমাস হলেই কৃত্রিম অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
পানির পিএইচ ৬.০-৮.০ খরত্ব ৫.১৯ এবং তাপমাত্রা ৪-১’ সে. পর্যন- থাকতে হবে। তবে ২০-২০’ সে. তাপমাত্রা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী।