শেখ মাহতাব হোসেন :: খুলনার ডুমুরিয়ায় ইরি-বোরো আবাদে কৃষিপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। প্রতিবছর সার কীটনাশক, বীজ, ডিজেল ও শ্রমিকের দাম বাড়ছে। সেই অনুপাতে বাড়ছে না ধানের দাম। এতে বোরো চাষাবাদে
হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা।
গত বছরের তুলনায় এবারের জ্বালানি তেলের দাম ১৫ টাকা বেশি। এদিকে সার (পটাশ) বস্তা প্রতি বৃদ্ধি হয়েছে ২০০ টাকা এবং টিএসপি কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৮-১০ টাকা। শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়। তবুও ধানের দাম এবার ভালো পাওয়ায় আশায় চাষিরা ইরি-বোরো আবাদের দিকে ঝুঁকেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ২২হাজার হেক্টর জমিতে ইরি- বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্জন হয়েছে ২১ হাজার ৬শত ৪হেক্টর জমিতে। খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা গ্রামের ফারুক জানান, তিনি ইরি বোরো আবাদ করেছেন ৬ বিঘা জমিতে। এবার ডিজেল কিনতে হচ্ছে ৮১ টাকা দরে। বেশি দামে ডিজেল কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। ডিজেলের দাম কম হলে তিনি আরও ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা গ্রামের বিলে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন কৃষক এরশাদ সরদার, বেশি জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করতে পারতেন। বিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্প ব্যবস্থা করতে পারলে খরচ আরও কম হতো বলে জানান তিনি।
ডুমুরিয়ার গোনালী গ্রামের কৃষক মিজান মাষ্টার জানান, একদিকে ডিজেল কিনতে হচ্ছে বেশি টাকায়। অন্যদিকে সার- কীটনাশকের দামও অনেক বেশি। পটাশের বস্তা ছিল ৭৫০ টাকা করে। সেই পটাশ এখন কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকায়। প্রতি বস্তায় বৃদ্ধি পেয়েছে ২০০ টাকা করে। তা ছাড়া প্রতিকেজি টিএসপিতে বেড়েছে ৮-১০ টাকা। খোলা বাজারে ২২ টাকার টিএসপি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
সার ব্যবসায়ী জানান, ইরি-বোরো আবাদের প্রথম দিকে সার-কীটনাশকের চাহিদা একটু বেশি থাকে। ফলে আমাদের যেমন কিনতে হয় তেমনি বিক্রয় করি।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জানান, সরকারি নির্দেশনায় সারের মূল্য বাড়েনি। যদি কোনো ব্যবসায়ী সারের মূল্য বৃদ্ধি করে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া অন্যান্য কৃষিপণ্যর দাম বাড়ায় চাষিদের ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।