রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় ডুমুরিয়া উপজেলা শিল্প কলা একাডেমির কক্ষে উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এম পি , বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল ইসলাম মানিক, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন, চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত বৈদ্য,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রিনা মজুমদার, ধন্জয় মন্ডল রিসোর্ট সেন্টারের ইন্সেফেক্টর মোঃ মনির হোসেন ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুব্রত প্রমুখ। জুলিও কুরি হচ্ছে বিশ্ব শান্তি পরিষদের একটি সম্মানজনক পদক। ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জঁফ্রেডেরিক জুলিও কুরি ১৯৫৮ সালে মৃত্যুবরণ করলে বিশ্ব শান্তি পরিষদ তাদের শান্তি পদকের নাম ১৯৫৯ সাল থেকে রাখে ‘জুলিও কুরি’। ফ্রেডেরিকের মূল নাম ছিল জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও। ফ্রেডেরিকের স্ত্রী ইরেন কুরি।
তাঁরা দুজনেই নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী। ইরিনার মা-বাবাও বিখ্যাত নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী দম্পতি মাদাম কুরি ও পিয়েরে কুরি।
বিয়ের পর ফ্রেডেরিক ও ইরেন উভয়ে উভয়ের পদবি গ্রহণ করেন এবং একজনের নাম হয় জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও কুরি এবং অন্যজনের নাম ইরেন জুলিও কুরি।
উল্লেখ্য, বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে, মানবতার কল্যাণে এবং শান্তির পক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য বরণীয় ব্যক্তি ও সংগঠনকে শান্তি পদকে ভূষিত করে আসছে।
১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০ দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।