গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেকিছাটা চাউল ডিজিটাল বাংলাদেশে স্মার্ট ঢেকি প্রচলন এর শুভ উদ্বোধন।
বাংলায় প্রবাদ আছে, ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’ অর্থাৎ ঢেঁকি হলো ধান ভানা বা শস্য কোটার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রবিশেষ। প্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপ মহাদেশ তথা সারা বাংলায় ঢেঁকি ব্যবহার হয়ে আসছিল। একটা সময় ছিল যখন বাংলার একমাত্র যন্ত্রই ধান ভানার ঢেঁকি। গ্রামের কৃষাণী থেকে শুরু করে জমিদারবাড়ি পর্যন্ত সর্বত্রই ছিল এ ঢেঁকির প্রচলন। অতীতে বাংলার ঘরে ঘরে ধান ভানা, চিড়া কোটা, চাল ও চালের গুড়া করার জন্য ঢেঁকিই ছিল একমাত্র মাধ্যম। বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যর ধারক ঢেঁকি গৃহস্থের সচ্ছলতা ও সুখ সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে প্রচলিত ছিল। বাংলাদেশের শহর থেকে শুরু করে গ্রামে গঞ্জেও এখন পুরোপুরি যান্ত্রিকতার ঢেউ লেগেছে, ফলে দিন দিন একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের এ যন্ত্রটি।
সোমবার (২৯ মে)সকাল ১১টার সময় ডুমুরিয়া উপজেলার কাঠালতলা আশ্রয়ন প্রকল্প চত্বরে উপজেলা পরিষদ নারী উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এম পি।
উদ্ধোধক খুলনা অতিরিক্ত প্রশাসক প্রশাসক রাজস্ব,এস এম মোমিন লিংক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আশিষ মোমতাজ , উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল ইসলাম মানিক,ডুমুরিয়া থানা অফির্সাস ইনর্চাজ সেখ কণি মিয়া,
বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া আটলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন।সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ূন কবির বুলু।খর্নিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ দিদার হোসেন। উপজেলা বাস্তবায়ন প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোসেন। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান।
ইউ পি সদস্যা সাহিদা বেগম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জিএম ফারুক হোসেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ যুবলীগের আহবায়ক গবিন্দ্র ঘোষ।
উপকার ভোগী রিনা পারভীন। ইউপি সদস্যাও নারী উন্নয়ন ফোরামের সদস্যা ললিতা সরদার। এম পি এপি এস শমির দে গোড়া, মাইকেল রায়, মনিরুল ইসলাম বান্টি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খান আবুল বাসার প্রমুখ।
সার্বিক সঞ্চালনায় ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন পারভীন রুমা।