সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা মঙ্গলবার , ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ডুমুরিয়ায় তালের সুবাসে মৌ মৌ করছে বাজার | চ্যানেল খুলনা

ডুমুরিয়ায় তালের সুবাসে মৌ মৌ করছে বাজার

শেখ মাহতাব হোসেন :: ডুমুরিয়া (খুলনা) ভাদ্র মাস আসতে না আসতেই বাজারে এসেছে পাকা তাল। তালের সুবাসে মৌ মৌ করছে বাজার।
ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে তালের পিঠা। অনেকে পাকা তালের মিষ্টি ঘন রস কাঁচাই খান, আবার অনেকে সিদ্ধ করে তা দিয়ে পিঠা বা সুস্বাদু খাবার বানিয়ে খান। এ ছাড়া তালের বীজের শাঁস অনেকের প্রিয়।
দুই তিন মাস আগে বাজারে কাঁচা তালের রসালো শাঁস রসনা মিটিয়েছে। এখন শহর-গ্রাম সবখানে তালের রস দিয়ে নানা রকমের পিঠা, পায়েস, পাকোয়ান, তালমিছরি, তাল মাখনা, তালের বড়াসহ রকমারি খাবার তৈরি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আড়তদাররা রাজধানীতে নিয়ে এসেছেন পাকা তাল। ছোট আকারের তাল ১০ থেকে ১৫ টাকা, মাঝারি আকারের তাল ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং বড় আকারের তাল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তালের পসরা ঝুড়িতে সাজিয়ে রাস্তায় অনেককে ফেরি করে বিক্রি করছেন অনেকেই।
ডুমুরিয়া, খর্নিয়া, টিপনা নতুন রাস্তা,শাহাপুর বাজারের তাল বিক্রেতা আব্দুল জলিল শেখ জানান, এ সপ্তাহ থেকে পাকা তাল আসা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগই আসছে ডুমুরিয়া থেকে। তবে গুণগত মানের দিক থেকে চুকনগরের তালের সুনাম আছে। তবে সপ্তাহখানেক পর এর পরিমান আরো বাড়বে।
দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই কমবেশি তালগাছ দেখা যায়। কি সমতল, কি পাহাড় কিংবা হাওর-বাঁওড় সবখানেই দেখা যায়- ‘তাল গাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে।’ আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে সারা দেশে হাজারো গাছের মধ্যে তালগাছ সারি দেখা যেত। কালের আবর্তে তালগাছ বর্তমানে অনেকটাই অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। বৃক্ষ রোপণ অভিযানকালে আমরা অন্যান্য গাছ লাগালেও তালগাছকে এড়িয়ে যাই। অপরিকল্পিতভাবে তালগাছ কাটা এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন আর মাঠের ধারে ও গেঁয়ো পথের পাশে সারি সারি তালগাছ চোখে পড়ে না। চোখে পড়ে না তালগাছে বাবুই পাখির বাসা বাঁধার মনকাড়া সেই দৃশ্য।
তাল` (Asian Palmyra Palm) একটি ভারতীয় উপমহাদেশীয় গ্রীষ্মকালীন ফল যা তালগাছ (বৈজ্ঞানিক নাম Borassus flabellifer) নামক পাম গোত্রীয় গাছে ফলে। তাল গাছ পাম গোত্রের অন্যতম লম্বা গাছ যা উচ্চতায় ৩০ ফুট হতে পারে। তালের পাতা পাখার মত ছড়ানো তাই বোরাসাস গণের পাম গোত্রীয় গাছ গুলিকে একত্রে ফ্যান-পাম বলা হয়।
তালগাছ ভারতীয় উপমহাদেশীয় অনেক অঞ্চলেই জনপ্রিয়। কারণ তাল গাছের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত কিছুই ফেলনা নয়। তালপাতা দিয়ে তৈরি হতো সেপাই। প্রবাদে বলা হয়-তালপাতার সেপাই। একটা কাঠির আগায় লাগানো থাকত। কাঠিটি হাতের আঙুল দিয়ে ঘোরালেই সেপাই নানা কায়দায় হাত-পা নাড়ত।
তালপাতার ব্যবহার বিভিন্ন রকম। হাত পাখার কথা তো বলাই বাহুল্য। এ দিয়ে টুপি, ঝুড়ি, চাটাই, মাদুর, বেড়াসহ নানা খেলনা তৈরি হয়। কাঠও দারুণ শক্ত এবং আঁশযুক্ত। সহজে পঁচে না বা নষ্ট হয় না। ছোট ডিঙি নৌকা তো হয়ই, ছাতির বাঁট, লাঠি, বাক্স, পাপোশ, কয়ার ইত্যাদি জিনিসও তৈরি হয় ওই তালগাছ থেকে। গ্রামের বহু পুকুরের ঘাটলাও তৈরি করা হয় তালগাছের গুঁড়ি দিয়ে। তাল গাছ চিরে যে নৌযান বানানো হয় তার নাম ডোঙা। গ্রামীন জনপদের বর্ষাকালীন এক উপকারী নৌযান এটি। শাপলা তুলতে, মাছ ধরতে, পন্য বা অন্যান্য মালামাল পরিবহনে এটা দারুন দরকারী।

https://channelkhulna.tv/

অর্থনীতি আরও সংবাদ

মোংলা বন্দরের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বেনাপোল স্থলবন্দরে ৯ দিনে ভারত থেকে এলো ১৩৪০ মেট্রিক টন চাল

শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৪ দিনে ভারত থেকে ৭২৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি

১৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫ হাজার কোটি টাকা

মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তোলা হবে : এম সাখাওয়াত হোসেন

কৃষি ব্যাংকের ৭০ কোটি টাকা লোপাট, দুই মামলায় ৮ আসামি

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।