বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় ডুমুরিয়া উপজেলা পানি কমিটির ত্রৈমাসিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা পানি কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাক্তার মোহাম্মদ আলী, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এবি এম শফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষিরা জেলার তালা উপজেলার পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম আকতার স্বপন, সাংবাদিক শেখ মাহতাব হোসেন, এম এম সুলতান আহমেদ, উত্তরণ প্রতিনিধি দিলিপ কুমার শানা, আজিজুর রহমান আকুন্জি, ফরাদ হোসেন সরদার, আব্দুল গাফফার,
শেখ মোশাররফ হোসেন, জাকির হোসেন, ইউসুফ আলী খান,আনজুমারা খানম,বুলু চক্রবর্তী,লাভলী বেগম, অর্চনা ফৌজদার, খাদিজা বেগম,রাখি রায়, শিবপদ মল্লিক, প্রমুখ।।
বক্তব্য বক্তরা বলেন টিআরএম নিয়ে দেশের খুলনার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বেশ একটা হৈ চৈ চলে। কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এবি এম শফিকুল ইসলাম বলেন বিদেশীরা টাকা দেয়। ইন্ডিয়া দিতে পারে অন্য দেশ কেন দেবে ? বাংলাদেশের ক্ষতি করার জন্যেই যদি এসব করে তবে ইন্ডিয়া ছাড়া কার এত দরকার?
এই যে পাখিমারা বিলে টিআরএম হলো, কার কি লাভ হলো? খানিকটা জমি উঁচু হলো কিন্তু সব গেল। আগে বড় বড় সাহের বাবুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতো। আহা! কতই না ভাল ছিল। পলি দিয়ে বিল ভরাট করে পরিবেশ নষ্ট করে দিল। প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে গেল। ইসা একটা সময় ছিল যখন নদীর দু’ধারে বাঁধ ছিল না। পলি যুক্ত জোয়ারের পানি বিলের মধ্যে ঢুকে সব বিলগুলো উঁচু করে দিত। এই এলাকা পলিতে উঁচু হতে হতে মানুষের বসবাসের উপযোগী হতো। তখনকার কথা বাদ। এখন ওসব করতে যাবো কেন ? নদী বাঁচানোর জন্য ? তার জন্যে তো অন্য পথ আছে। ড্রেজার দিয়ে পলি কেটে নদীর দু’ধারে তুলে রাখা তাতে কি আবার বিল উঁচু হয়ে যাবে ? আবার পলি কাটতে কাটতে পিছনে পলি জমে ড্রেজার আটকে যেতে পারে। সুতরাং নদীর দরকার নেই। এস্কেভেটর দিয়ে খাল কেটে নদীর দু’ধারে রেখে দিলে বৃষ্টিতে ধুয়ে ঐ মাটি আবার নদীর মধ্যে আসবে। আবার নদী কাটা হবে। টিআরএম-তো একটা ক্ষণস্থায়ী ব্যবস্থা তার চেয়ে মাটি কাটা, ফ্লুইস গেট তৈরি করা এসব অনেক ভাল ব্যবস্থা। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা কিন্তু এস্টিমেট করবেন ৩০ ফুট চওড়া ১০ ফুট গভীর মাটি কাটতে প্রতি বর্গফুট বাবদ ১০ হাজার টাকা ব্যয় এসব লিখবেন। সব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি ব্যক্তিরা একে একে সই করবেন আর মুচকি মুচকি হাসবেন। টাকার হিসাবটা কম হতে পারে। বালিশের দাম সবাই জানে কিন্তু মাটি কাটার দামটা তো সবাই জানি না। দুবছর পরে আবার স্কীম আবার নদী কাটা। একদম স্থায়ী ব্যবস্থা। প্রায় ২৬২ কোটি টাকার কপোতাক্ষ খনন হয়েছে। পাখিমারা টিআরএম এর কারণে বিগত ৭ বছর নদীটা সচল হয়েছে। ক্ষতিপুরণ এবং বাঁধ সংস্কার বাবদ বছরে ৯৮ কোটি টাকা ব্যয় করলে নদীটা আরও ২০ বছর এই ভাবেই চলবে। এরপরে অন্য বিলে টিআরএম করতে হবে। মাত্র ২ বছর পরে প্রোজেক্ট বহির্ভূত ভাবে টিআরএম চালু না থাকলে কপোতাক্ষ ১ বছরেই জলাবদ্ধ খালে পরিণত হতো। জুলাবদ্ধতার শিকার হতো কপোতাক্ষ পাড়ের ২০ লক্ষ মানুষ।