খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় শীতকালীন আগাম বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি ফুলকপি চাষে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষক। প্রায় এক থেকে দেড় কেজি ওজনের এক পিস ফুলকপি পাইকারী দরে বিক্রি করা হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা। খুচরা বাজারে এসব কপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা নিচ্ছেন। উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের গোনালী গ্রামের কৃষক শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান বিশ্বাস আগাম ফুলকপির আবাদ করে আর্থিক লাভবান হয়েছেন। এরই মধ্যে জমির উৎপাদীত ফুলকপি থেকে আয় করেছেন প্রায় টাকা। ৩৫শতাংশ জমিতে এচাষে তার খরচ হয়েছে ৩৮ হাজার টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জমি থেকে মাঝারি আকারের ফুলকপিগুলো তোলা হচ্ছে। বাজারে চাহিদা থাকায় সবজির পাইকাররা জমিতে দাড়িয়ে থেকে ফুলকপি নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। দেখা গেছে, ভিন্ন ভিন্ন জমিতে ফ্রেস, সিরাজী ও ৭৭ হাইব্রিড জাতের ফুলকপির চাষ করা হয়েছে।
এ সময় পাইকার মোনজাত আলী শেখ বলেন, উপজেলার বাজারে তিনি সবজির ব্যবসা করেন। ১০ দিন হলো এই ক্ষেতের কপি নিয়ে বিক্রি করছি। এসব কপি খাওয়ায় বেশ সুস্বাদু হওয়ায় বিক্রি বেশী হচ্ছে। শেখ আব্দুল জলিল এক সবজি বিক্রেতা বলেন, প্রতিদিন তার দোকান থেকে প্রায় দুই শতাধিক ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে।
চাহিদা বেশী থাকায় এখানে এসে প্রয়োজন মত কপি সংগ্রহ করে নিচ্ছি। মাঝারি সাইজের একটি ফুলকপি ১লক্ষ ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারছি।
শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান বিশ্বাস আরো বলেন, তিনি জমিতে প্রায় ৪ হাজার ২শত কপির চারা রোপণ করি।
জমি থেকে পাইকারী দরে এই পর্যন্ত ১লক্ষ ৮ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি হয়েছে। জমিতে ৩ হাজার পিস কপি বিক্রি করা যাবে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে এগুলো সব বিক্রি হয়ে যাবে। এই জমিতে আগাম ধুন্দল চাষের চিন্তা করছি। ফুলকপি চাষে তিনি সফল হয়েছেন। এই এলাকায় তিনিই ফুলকপির চাষ করেছেন। তিনি বলেন, সবজি চাষে সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগীতা করা হলে এচাষে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ বাড়তো।