শেখ মাহতাব হোসেন :: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় বানিজ্যক ভাবে পেঁপে চাষ করে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করেছেন চাষীরা। দীর্ঘদিন মানবেতর জীবন যাপন করলেও পেঁপে চাষ করার পর ঘুরে গেছে তাদের ভাগ্যের চাকা। শুধু পেঁপে চাষিদের নয়, তাদের পেঁপে বাগানে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে নারী ও পুরুষদের।
কৃষি অফিস ও চাষিদের সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলা ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে এ বছর পেঁপের চাষ করা হয়েছে। অনেকের নিজের জমি না থাকায় জমি বর্গা নিয়ে করছেন পেঁপে চাষ। চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেই তারা লাভের মুখ দেখতে থাকে। উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া, চুকনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০টি পেঁপে-বাগান। পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক কৃষক। জীবিকার দিশা পেয়েছেন অনেক শ্রমজীবী মানুষ। মাঠের পর মাঠ শুধু পেঁপে ক্ষেত।
জানা যায়, প্রতি হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৫ থেকে ৮ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেন।
অনেক পেঁপে বাগানে পাশাপাশি বিভিন্ন ফসল হিসাবে কাঁচা মরিচ, লালশাক, হলুদের চাষও করে থাকেন। পেঁপে চাষ করে এক দিকে যেমন বেকারত্ব দুর হচ্ছে অপরদিকে তাদের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে বেকার নারী ও পুরুষদের।
বরাতিয়া গ্রামের অনিমেষ দে জানান, আমি এখন পুরোপুরি পেঁপে চাষি। পেঁপে চাষ আমার ভাগ্য ফিরিয়েছে। আমার মতো গ্রামের অনেকেই পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বর্তমানে ১০০শতক জমিতে পেঁপে চাষ করছি।
নিখিল নন্দী, ২থেকে ৩ বিঘা জমিতে পাঁচ বছর ধরে পেঁপের চাষ করছেন। এ বছর আবাদে খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। প্রতি সপ্তাহে তিনি বাগান থেকে ২০-২৫ টাকার পেঁপে বিক্রি করছেন। মৌসুমের শেষ নাগাদ পেঁপে বাগান থেকে ৫-৬ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন ওরফে তুহিন জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৫হেক্টর জমিতে পেঁপের চাষ হয়েছে পেপে চাষ লাভজনক বিধায় দিন দিন চাষিদের সংখ্যা বাড়ছে।