বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় ডুমুরিয়া শহিদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে বৈষম্য নিরসনে যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সম্মেলনে সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেনডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, দলিতদের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার দাস, বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান সমারেশ মন্ডল,এম পির এপি এস গোরা, মাইকেল, দলিতের সম্নকারী বিকাশ কুমার দাস,দলিতদের অডিটর উত্তম কুমার দাস ,সংগীতা দাস, রাজুআশ দাস, প্রমুখ। সার্বিক সঞ্চালনা করেন দলিতের ডুমুরিয়া উপজেলা মানেজ্যার মোঃ আলামিন।
বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় এক কোটি দলিত ও হরিজন জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করে। বাংলাদেশে এই বিংশ শতাব্দীতেও দলিত হরিজন সম্প্রদায় প্রতিনিয়ত অস্পৃশ্যতার শিকার হয়। দারিদ্র্য, প্রান্তিকতার মাত্রা, বৈষম্য, অস্পৃশ্যতা, ঘৃণা, সমাজ বিচ্ছিন্নতা, মর্যাদাহীনতা, পেশাচাতি ইত্যাদি নানাবিধ বঞ্চনার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, জন্মগত ও পেশাগত পরিচয়ের কারনে বৈষম্যের শিকার জাতিগোষ্ঠী যথা ঋষি কাপুত্র দাস, হরিজন, বেহারা, জেলে, দাই, ধোপা, নিকারী, শিকারী, হাজাম, বলু ইত্যাদি সম্প্রদায়ের মানুষেরা তথাকথিত সমাজ ব্যবস্থায় দলিত, নিম্নবর্ণ নামে পরিচিত। আমাদের স্বপ্ন ছিল সদ্য স্বাধীন দেশে আমরা সম্মানের সহিত সকল ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অসাম্য ও অবহেলা থেকে মুক্ত ভাবে জীবন যাপন করতে পারব। কিন্তু নির্মম হলেও সত্য এই নিম্ন বর্ণের মানুষেরা এখনও সমাজ কর্তৃক নিগৃহীত।
আমরা এ দেশের নাগরিক হয়েও শুধু মাত্র নিম্নবর্গে জন্মগ্রহণ করার কারণে অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি।
সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েই আমাদের জীবন যাপন করতে হয়। এই বিচ্ছিন্নতা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং মানসিক। অন্য জনগোষ্ঠীর সাথে মিশবার, নলকূপ থেকে পানি নেবার, সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবার এবং ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা পাবার অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত। আলোচনা পূর্বে ডুমুরিয়ায় বৈষম্য নিরসনে যুব সমাজ একটি স্বারক লিপি প্রধান অতিথির হাতে তুলে দেন।