শেখ মাহতাব হোসেন:: শীত কম হওয়ায় ভালো অগ্রগতি বীজতলার। দক্ষিণঞ্চলেও এবার শীত-কুয়াশার দাপট নেই। ঘূর্ণিঝড় মিখিলির প্রভাবে গুরু বোরোর বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হলেও দ্রুত আবহাওয়া পরিবর্তনে খুব একটা সমস্যা হয়নি। এতে ভালো অগ্রগতি হয়েছে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির। কেটে গেছে চাষিদের শঙ্কা।
সবমিলে বোরোর বীজতলা তৈরি নিয়ে বড় সুখবর রয়েছে জাতীয় পর্যায়ে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এবছর বোরো ধানের বেশি বীজতলা করতে যাচ্ছেন চাষিরা। অর্থাৎ, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মৌসুমে বোরোর উৎপাদন বাড়বে। বীজতলা তৈরিতে ভালো অগ্রগতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বোবোর বীজতলা তৈরিতে ৯১ দশমিক ৫ শতাংশ আগেরি হয়েছে। যেখানে গত বছর একই সময়ে আগ্রগতি ছিল ৫২ শতাংশ। এরপরেও জানুয়ারির মাঝামাঝি বীদাতলা তৈরি চলবে সারাদেশে। ফলে এবছর বীময়লা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছর বোবোর বীদাতলার লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪২ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত বীজতলা হয়েছে ২ লাখ ২১হাজার ৩৫৫ হেক্টরে। গত বছর এনময় ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার হেক্টরের কিছু বেশি। তথ্য আরও বলছে, গত বছর দেশে শেষ পর্যন্ত ২ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর অমিতে বোরোর বীজতলা করা হয়েছিল। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪১ হাফার হেক্টর। অর্থাৎ, বীমাতলায় আগেতি ছিল প্রায় ১১২ শতাংশ। এবছর মমির পরিমাণ আরও বাড়বে বলেণ খাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে সারাদেশের তথ্য বলছে, এখনো কোথাও কোথাও বীজতলা। রোগণ শুরু হয়েছে, কোথাও হালি চারা তৈরির অপেক্ষা করছেন কৃষক। সেচের দাম এখনো নির্ধারণ হয়নি এবছর। সেচ খরচ যৌক্তিক রাখতে এবার মাঠপর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া এবছর সাবের পর্যান্ত বরাদ্দ রয়েছে। ফলে সাব সংকটে দাম বাড়ার আশমা নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বোরোর উৎপাদন বাড়ার আশা চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবয়বের আনন্ন মৌসুমে ৫০ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ২ কোটি ১৭ লাখ টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যেখানে গত মৌসুমে (২০২২-২৩ অর্থবছর) উৎপাদন হয় ২ কোটি ৭ লাখ টন। তবে গত অর্থবছরের উৎপাদন তার আগের বছরের চেয়ে প্রায় দুই লাখ টন কম ছিল। আগের অর্থবছর উৎপাদন হয় ২ কোটি ৯ লাখ টন। এবছর বীজতলা বাড়লে উৎপাদন আরও বাড়বে বলে আশা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে চলতি বছর ৭৫ টনের কাছাকাছি হবে বোরোর উৎপাদন, যা অন্য বছরের চেয়ে বেশি। এবার এখন পর্যন্ত আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূলে রয়েছে। এবার শীত কম, শেষ পর্যন্ত কম হবে, সেটা ধানের ফলনের জন্য ভালো। চাখিরাও কুয়াশা না থাকায় বেশি বেশি বীমাতলা করছেন। ধানের দাম, উন্নত প্রযুক্তি ও বীজ এবং সরকারের বড় প্রণোদনার কারণে কৃষক বোরোর প্রতি আগ্রহী হয়েছে।
কার্তিক চন্দ্র বিশ্বান বলেন, ‘আমাদের চাষিরাও দরদ দিয়ে বোরো আবাদ করে। দাম না পাওয়া, সার-বীজ সংকটে তাদের মধ্যে আগে যে অনীহা তৈরি হতো, সেটা একদমই নেই।