ডুমুরিয়ায় ভ্যান ও ফোন ছিনতাইয়ের জন্যই মহিদুল ওরফে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৫ আসামী হত্যার দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকিয়া সুলতানার আদালতে এ দায় স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- ডুমুরিয়া উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের শওকত শেখের ছেলে রাফসান(২৩), খবির উদ্দিনের ছেলে শরিফুল (৪৫), কেশবপুরের গৌরিঘোনা গ্রামের কাজেম ফকিরের ছেলে গফুর ফকির(৪৫), খোদাবক্স সরকারের ছেলে মঞ্জুরুল সরদার(৪২) ও কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে এনামুল (৩০)।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোর রাতে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, গত ১৩ই মার্চ গোবিন্দকাটি এলাকায় একটি সুপারি বাগানে ভ্যান চালক মহিদুল ওরফে মিলনকে হত্যা করা হয়। মহিদুল উপজেলা কাঞ্চননগর গ্রামের বাসিন্দা। ঘাতকরা এসময়ে তার ভ্যান ও এনড্রয়েড ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরদিন মিলনের পিতা ওমর আলী শেখ বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চুরিকৃত সেই ফোনটি নোয়াখালী এলাকায় জনৈক এক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করে। পুলিশ ওই ফোনের সুত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গোবিন্দকাটির রাফসান ও কক্সবাজারের এনামুলকে চট্রগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তিনুযায়ী অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসামীদেরকে গ্রেফতার কর হয়। আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে হত্যার দায়ে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত আসামীদেরকে জেল হাজতে