ডুমুরিয়া ট্রলার ঘাট সংলগ্ন ডিপোতে চিংড়ি মাছে পুশ করার সময় মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে এলাকাবাসী টের পেয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সোহেল মো. জিলুর রহমান রিগানকে সংবাদ দিলে তিনি সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আসাদুর রহমানকে নিয়ে মোবাইল কোট করিলে ৩০০ কেজি মাছ রেখে পালিয়ে যায়।
মাছগুলো জব্দ করে বিনষ্ট করে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেরিন ফিশারিজ অফিসার অসিত কুমার সরকার, টেকনিক্যাল অফিসার প্রণব কুমার দাস, মো. আশিকুর রহমান ও ক্ষেত্র সহকারী মো. মহসিন সহ ভূমি অফিসের লোকজন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, প্রতি বছর ৫ হাজার কোটি টাকার মাছ রপ্তানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হচ্ছে চিংড়ি। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি চিংড়িতে জেলিসহ তরল পদার্থ পুশ করে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি করতে চান। যা দণ্ডনীয় অপরাধ। অন্যদিকে এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এছাড়া চিংড়িতে বিভিন্ন তরল পদার্থ পুশ রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। হাতনাতে অনেককে আটক করে জেল ও জরিমানাও করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, চিংড়ি পরীক্ষার জন্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও খুলনাতে উন্নত প্রযুক্তির ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। এরপরও যদি কোনো চক্র মৎস্য সেক্টরকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করে তবে সেটা বরদাশত করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।