দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রজনন মৌসুমে আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন যেকোনো প্রজাতির মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গত বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সব ধরণের মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোনো প্রজাতির মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।
গত বছর ২৪ এপ্রিল সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ এ দেওয়া ক্ষমতাবলে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। উপকূলীয় বিভাগ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনার ১৪টি জেলার ৬৭টি উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধের এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। আরও জানানো হয়, নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নকালে তিন লাখ ১১ হাজার ৬২ জন সমুদ্রগামী জেলের জন্য প্রথম ধাপে ১৭ হাজার ৪১৯ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় ভিজিএফ-এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার উপকরণ সহায়তা দেবে। মঙ্গলবার সকাল ১১টার সময় ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে সামুদ্রিক মৎস্য সংরক্ষণ এবং টেকসই আহরণের জন্য সচেতনতা সভা ও বিশেষ ভিজিএফ চাউল বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা মৎস্য অফিসার জয়দেব পাল, বক্তব্য রাখেন বটিয়াঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মামুনুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, অনুষ্ঠান সার্বিক সঞ্চালনা করেন আকলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন।
আলোচনা সবার শেষে জেলেদের মাঝে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করেন।