ডুমুরিয়ার বরাতিয়া জমি জবর দখলের পায়তারা ও মধ্যযুগীয় কায়দায় তান্ডব চালিয়ে ৫ শতাধিক ফলন্ত কলা গাছ, ওল, মেটে আলু ও লাউ সবজির ফলন্ত গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জমির মালিক খাদিজা বেগমের স্বামী আব্দুল কুদ্দুস শেখ (৪৭) বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী ও মামলার অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া গ্রামের
কুলবাড়িয়া- বরাতিয়া মৌজায় বাদীর স্ত্রী নামে কবলা দলিল মুলে রেকর্ডীয় ও ভোগদখলীয় ২৪ শতক জমি রয়েছে। উক্ত জমি নিয়ে বিবাদী হায়দার আলি গোলদার (৫৬) গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
যার এসএ খতিয়ান নং ১৯৫৫, আরএস খতিয়ান নং ১৩২৮ ৩০৪১,দাগ নং ১২২১, বিআরএস ২৮৬৫ ও ৩০৪৭ দাগে ২৮ শতক জমির মধ্যে হতে খাদিজা বেগমের নিজ নামে সাড়ে ২৩ শতক জমির কবলা দলিল মুলে রেকর্ডীয় ও ভোগদখলীয় মালিক।
উক্ত জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি আবাদ করে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে আছেন বাদী পক্ষ। কিন্তু আসামিরা এলাকার ভুমিদস্যু ও দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির ব্যাক্তি। ইতোপূর্বে তারা উক্ত জমি জবর দখলের পরিকল্পনা করে। ফলে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত খুলনায় দেওয়ানী ১২৩/১৯ নম্বর মামলা দায়ের করেন বাদীপক্ষ। বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের শুনানি আন্তে বাদীপক্ষের অনুকূলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। কিন্তু আসামি গন আদালতের আদেশ অমান্য করে মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে মামলার প্রধান আসামি হায়দার আলি গোলদারের নেতৃত্বে ৩৫/৪০ জন ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী তাদের হাতে থাকা দাঁ, কুড়াল, শাবল, হাসুয়া কোদাল নিয়ে বর্ণিত জমিতে থাকা ৫ শতাধিক ফলন্ত কলা গাছ, ওল, লাউগাছ ও মেটেআলু গাছে কেটে সাড়াব করে দেয়।
যার আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। এরপর আসামিরা বাদী পক্ষ মামলা না করতে হুমকি
ধামকি দিয়ে দ্রুত ঘটনা স্থল ত্যাগ করে চলে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী মোঃ আব্দুল কুদ্দুস শেখ বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় মোঃ হায়দার আলি গোলদার কে প্রধান করে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও ৩৫/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসমি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ প্রসংগে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেখ কনি মিয়া জানান, থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসমিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।