ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সামনে বুধবার (২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় ডুমুরিয়া উপজেলার থানার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা মানববন্ধন অংশ নেন। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে ডুমুরিয়া থানার প্রধান সমন্বয়ক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও মোঃ রকিবুজ্জামান সরদারের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, একই যোগ্যতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও তারা তৃতীয় শ্রেণির গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অথচ তাদের সমান যোগ্যতায় অনেকেই ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এটা স্পষ্টতই একটা বড় বৈষম্য। তাদের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিপ্লোমা পাসের যোগ্যতায় নার্সরা জাতীয় পে- স্কেলের ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন। একইভাবে উচ্চ মাধ্যমিকসহ ৪ বছরের ডিপ্লোমা যোগ্যতায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ১০ম গ্রেড, পুলিশের এসআইরা স্নাতক যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন। সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান বেতন হয় ১৩ তম গ্রেডে। সেটা ১০ম গ্রেডে উন্নীতের দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন সহকারী শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, ৯ বছর আগে ২০১৫ সালে সর্বশেষ যে জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই পে-স্কেলেও প্রাথমিক শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হয়। কিন্তু এই সময়ে যে হারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, তাতে প্রাথমিক শিক্ষকরা সংসার চালাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। কর্মসূচিতে সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত বক্তব্য দেন মোঃ মনিরুল হক, রবিউল ইসলাম, মোঃ জিন্নাত হোসেন, আব্দুল্লাহ্ আল ফকির, সুনিল মন্ডল, হাসিনা খানম ঝর্না, মনিকা কুন্ডু, আমিনুল হক, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,ওআকতার হোসেন প্রমুখ।