শেখ মাহতাব হোসেন:: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলাসহ গোটা জেলায় ১০দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দিনে এবং রাতে এ অঞ্চলে হালকা বাতাসের সঙ্গে ঘনকুয়াশা থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশা আর মেঘে ঢেকে রয়েছে আকাশ। দিনে এবং রাতে বৃষ্টির মতো ঝড় ঝড় করে কুয়াশা পড়ছে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে বাতাসের গতি বাড়ছে। ফলে ঠান্ডা আরও বাড়ছে। হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডার কারণে ১০দিনেও কাজে যেতে না পারায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষজন।
ক্ষেত খামারে, মাঠে ঘাটে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। বাড়িতে কিংবা বাড়ির বাইরে, রাস্তার ধারে, গ্রাম মহল্লায় আগুন তাপিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন মহিলা পুরুষ। গরম কাপড়ের দোকানে গুলোতে শীতের গরম কাপড় কিনতে স্বল্প আয়ের মানুষের ভীড় বেড়েছে।
গত ৮ জানুয়ারী হতে শৈত্য প্রবাহ শুরু হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি ডুমুরিয়ার আকাশে। মানুষ জনের পাশাপাশি পশু পাখিরাও জবুথবু হয়ে পড়েছে। উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপেক্সে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কনকনে ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষজন। কাজে যেতে না পাড়ায় অনেকে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।
ডুমুরিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জেলে পাড়া গ্রামের বাসিন্দা নদীর পাশাপাশি বিভিন্ন নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা কানাই লাল বিশ্বাস বলেন, একদিন মাছ ধরতে না গেলে পেটে ভাত যায় না। সেখানে ঠান্ডার কারনে গত ১০দিন ধরে কাজে যেতে পারছি না। সাইফুল ইসলাম জানান বর্তমানে মাঠে আলু, ভুট্টা, মরিচ, সরিষা, বেগুন, বাধাকপিসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত রয়েছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ৪দিন পর পর ছত্রাক নাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছি। রাতের বেলা বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে বলা হচ্ছে অথবা সকালে বীজতলার পাতায় জমানো শিশির বিন্দু ঝেড়ে ফেলতে বলা হচ্ছে। জেলার অবস্থান হওয়ায় এমনিতেই বর্তমান এলাকায় শীতের দাপট বেশি।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নূরুল আলম বলেন এ যাবত ১৪টি ইউনিয়ন ও ৫হাজার ৭২০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্তদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দের জন্য নতুন করে আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বিতরণকৃত কম্বল প্রয়োজনের তুলনায় কম।