শেখ মাহতাব হোসেন:: পল্লীকবি জসিমউদ্দীন দরদি মনে ধানক্ষেত কবিতায় লিখেছেন- 'পথের কেনারে পাতা দোলাইয়া করে সদা সঙ্কেত, সবুজে হলুদে সোহাগ ঢুলায়ে আমার ধানের ক্ষেত। কবির লেখা ওই পঙ্ক্তিগুলোর বাস্তবতা এখন দৃশ্যমান হচ্ছে ডুমুরিয়া উপজেলার সর্বত্রই। শোভনা টিপনা চরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ আমন ফসলের মাঠে ঢেউয়ের মতোই খেলে যাচ্ছে সবুজ পাতা ও সোনালি শীষ। আর এসব আমনের সোনালি শীষের ঢেউয়ে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।
সোনালি-সবুজের সমারোহের পাশাপাশি হেমন্তের বাতাসে ধানক্ষেতের সবুজ ঢেউ যেন উপজেলার প্রান্তিক কৃষকের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই শীষে দানা গঠন শুরু হয়ে পরিপক্ক হয়ে উঠবে। আর সোনালি শীষ দেখে আনন্দে বুক ভরে উঠবে কৃষকের। কদিন পরেই সবুজ ধানগাছ ও শীর্ষ হলুদ বর্ণ ধারণ করে ফসল কাটার উপযোগী হবে। এরপর সোনালি ধানের শীষে ঝলমল করবে ফসলের মাঠ। রাশি রাশি সোনালি ধানে ভরে উঠবে কৃষাণীর শূন্য গোলা।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ কৃষি মাঠে সোনালি-সবুজের সমারোহ, আবার কিছু মাঠে জলাবদ্ধতায় ধান পচে বিরণভূমিতে পরিণত হয়েছে। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া ধানের প্রতিটি ক্ষেতে শীষ উঁকি দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও আশায় বুক বেঁধে ওই সব ফসলের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। আবার কেউ কেউ কৃষি মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা, সার, কীটনাশক প্রয়োগ, -আগাছা পরিষ্কার এবং পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষতি পোষাতে সচেষ্ট রয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। সরকারি প্রণোদনাসহ অনুকূল আবহাওয়ায় এ বছর আমন ধানের ফলন ভালো জমিতে আমনের বাম্পার ফলন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।