শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি:: ধান প্রধান খাদ্যশস্য। এরসাথে দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঘন বসতপূর্ণ এ দেশের জনসংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। বাড়িঘর, কলকারখানা, হাট-বাজার, সড়ক জনা স্থাপন, নদী ভাঙ্গন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমিতে বেশি ধান উৎপাদন করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের লক্ষ্য খুলনাডুমুরিয়াসহ কৃষি অঞ্চলে যে পরিমানে বৃষ্টি হচ্ছে তা আমন চাষে উপযোগি। ডুমুরিয়া খুলনা অঞ্চলে কৃষকদের কোনরূপ সমস্যা হচ্ছে না। খুলনা কৃষি অঞ্চলে ধান গড়ে হেক্টর প্রতি গড় ফলন ৪.২০৬ চাল ২,৮২ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। রোপন কা দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিনামূল্যে সরকার ৩০ হাজার ৬০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ২ কোটি ৩০ লাখ ৩১ হাজার টাকার প্রণোদনা দিয়েছেন। শতভাগ বীজতলা সম্পন্ন হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে,২০২০-৮অর্থ বছরে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ১৮৫৪০ জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯৭২৯৩ হেক্টর জমি। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৫৬১২৭ ও চাল ৮৩৭৪১৮ টন। জেলায় বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ৫৪৪০ হেক্টর জমি।
জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩১৮৫ হেক্টর জমি। ধান উৎপাদনের ক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১৩৫৩৯.৫ ও চাল ২৭৫৬৯৩ টন। বাগেরহাট জেলায় বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ৪৯৫৭ হেক্টর আবাদের নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৩০৯৬ হেক্টর জমি ধান উিৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫৮৮৩২,৪ চাল ১৮২৯৫৫ টন। সাতক্ষীরায় বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ৫৫৮৬ হেক্টর। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০৭৫০ হেক্টর জমি ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭৮৮৮৫ ও চাল ২৫২৫৯০ টন এবং নড়াইলে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ২০০৯ হেক্টর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২২৬২ হেক্টর জমি। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৯২৭০ ও চাল ১২৬১৮০ টিন। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ২০২৩-২৪ মৌসু রোপা আমন উফশি জাতের জন্য প্রণোদনা টাকার পরিবর্তে প্রতিজন প্রতি বিঘার জন্য পেয়েছেন বীজ ৫ কেজি, ডিএপি সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি এবং হাইব্রিজ জাতের জ পেয়েছেন প্রতি বিঘার জন্য বীজ ২ কেজি। চলতি মৌসুমের জুন মাসে বৃষ্টি হয়েছে ২১৫, ১ মিলিমিটার। জুলাইয়ে বৃষ্টি হয়েছে ১৪৬,১৬ ও চলতি মাসের ৬ আগস্ট পর্যন্ত ৮৩.১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে পুরো মাসে আরো বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমন চাষের উপযোগি বৃষ্টি হচ্ছে। ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, এখন আমন চাষের উপযোগি বৃষ্টি হচ্ছে। সামনে যে সময় রয়েছে তাতে বৃষ্টি হলে আমনের বাম্পার বে পূরণ হবে সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছেন। নিজেরা উদোগী হয়ে পতিত জমিতে আবাদ করার জন্য এগিয়ে আসছেন মা প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। ডুমুরিয়া অঞ্চলে কোন পতিত জমি থাকবে না। উৎপাদন যাতে নির্বিঘ্ন হয় সে দিকে নজরদারি করা হচ্ছে। লবণাক্ততার কারণে বীজতলার একটু সমস্যা হয়েছিল তা ঠিক হয়ে গেছে।