খুলনার ডুমুরিয়ায় বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট-বাজারে ভেটেরিনারী মেডিক্যাল টিম প্রাণিস্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উদ্যোগে পুরো উপজেলায় ৩টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত টিমে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ মাঠ সহকারী, ভেটেরিনারী মাঠ সহকারী, কৃত্রিম প্রজনন টেকনিশিয়ান, ভলান্টিয়ার ভ্যাক্সিনেটররা কাজ করছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ডাঃ সায়রা গুলশান, প্রাণী সম্পদ সম্পসায়ন কর্মকর্তা জানায়, ক্ষতিকর রাসায়নিক অথবা ষ্টেরয়েড (হরমোন) ব্যবহার করে মোটাতাজাকরণ গরু চিহ্নিতকরণ এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, হাটে হঠাৎ গবাদিপশু অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা সেবা প্রদান, অনলাইনে বিক্রির জন্য গবাদিপশুর ছবি আপলোড করা ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শসহ সচেতনতার বার্তাও প্রদান করছে এসব মেডিক্যাল টিম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল কবির কে বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির বাজার সামনে রেখে ক্রেতা-বিক্রেতার জন্য আমাদের এ সেবা। অসুস্থ, রোগাক্রান্ত কিংবা ক্ষতিকর রাসায়নিক হরমোন ব্যবহার করে মোটাতাজাকৃত গরু পর্যবেক্ষণ করছি আমরা। এখন পর্যন্ত হাটগুলোতে কোন অসুস্থ ও ক্ষতিকর পর্যবেক্ষণেরকরা গরু ছাগল পাওয়া যায়নি।
এদিকে হাট-বাজারগুলোতে মেডিকেল টিম পরিচালনা করায় ক্রেতা-বিক্রেতারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
সোমবার (১০ জুন) ডুমুরিয়া আঠারো মাইল গরুর হাটে উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের রানাই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এসেছেন কোরবানির গরু কিনতে। তিনি আমাদের ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি শেখ মাহতাব হোসেন কে জানান, দুইটি ষাঁড় পছন্দ হয়েছে তার। তবে রাসায়নিক হরমোন ব্যবহার করে মোটাতাজা করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জানায়। তারপর ষাঁড় দুটি সুস্থ এবং প্রাকৃতিক খাবারেই বেড়ে উঠেছে বলে ডা: শারমিনা তাকে নিশ্চিত। এতে তিনি টিমের প্রতি সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল কবির আরও জানায়, এ বছর উপজেলায় কোরবানী গরুর উৎপাদন ৪৩হাজার ৪শ ১৭টি,ও বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ২০হাজার ৪শ ৬৫টি। এছাড়া১০হাজার ২হাজার চাহিদা রয়েছে উপজেলায় মোট ৩টি কোরবানীর হাট ও ৩টি অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে।