খুলনার ডুমুরিয়ায় মাছ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান মাহবুবকে হত্যার দায়ে আসামি মিন্টু রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সেই সাথে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপরদিকে আরেক ধারায় তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। আসামি মিন্টু পলাতক। তার বাড়ি ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী এস এম আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক তসনীম জোহরা এ রায় দেন।
২০১৩ সালের ২২ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডুমুরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজুল ইসলাম মিন্টুকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে আটক অন্য দুইজনকে। ২৫ জনের সাক্ষ্য নেয়ার পর এই রায় দেয় আদালত।
উল্লেখ্য, ডুমুরিয়া উপজেলার চক আহসানখালীতে নিহত মাহবুব একজন ঘের ব্যবসায়ী ছিলেন। তার ঘেরে মিন্টু কাজ করতেন। ঘেরে থাকা অবস্থায় প্রায়ই তিনি কর্মচারীদের সাথে নিয়ে মাদক সেবন করতেন। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে মাদক কেনার টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে মাহবুব মিন্টুকে চড় মারেন।
এরই প্রতিশোধ নিতে রাত ১টার দিকে ঘেরের ভেতরে রাখা বঁটি দিয়ে মাহবুবকে কুপিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যায় মিন্টু। পরদিন মাহবুবের স্ত্রী গিয়ে মরদেহ দেখতে পায়। পরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে তিনিই ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তে নেমে ঘেরের কর্মচারী আলমগীর কবির খোকন ও জাহাঙ্গীর কবিরকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের মাধ্যমে মিন্টুকে ঝিকরগাছা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন।
পরে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।