মাছ চাষের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় শুক্রবার ডুমুরিয়ার ২০ জন মাছ চাষী সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী সফটশেল কাঁকড়া খামার পরিদর্শন করেন। ডুমুরিয়া উপজেলার ১০ টি সিবিও এর নারী-পুরুষ মিলে ২০ জন মাছ চাষী এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সফরে অংশগ্রহণ করেন। ডুমুরিয়ার এসব মাছ কাঁকড়া খামারে পৌঁছালে খামার কর্তৃপক্ষ তাদের স্বাগতম জানান। ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের আয়োজনে মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাস্তবায়নে কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ এন্ড আ্যাকুয়া কালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর করেন।
অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা মৎস্য অফিসার জয়দেব পাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারি পরিচালক মো: নাজমুল হুদা ও দাকোপ উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার। ডুমুরিয়ার সিবিও সদস্যগণকে কাঁকড়া খামারের কর্তৃপক্ষ তাদের বিস্তারিত কার্যক্রম তুলে ধরেন। সকল কিছু পর্যবেক্ষণ করে সদস্যবৃন্দ অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হন এবং তারা নিজেরাও ভবিষ্যতে সফল হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জেলা মৎস্য অফিসার জয়দেব পাল বলেন, আমরা ২০ জন মৎস্য চাষীদের নিয়ে মাছ ও কাঁকড়া চাষের অভিজ্ঞতা জন্য নিয়ে এসেছি। এ ধরনের অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর করে মৎস্যচাষীরা খুব উপকৃত হবেন পাশাপাশি এই খামার দেখে মাছ চাষীরা মাছ চাষ করতে আরও আগ্রহী হবেন। চাষী তার নিজ খামারে কাঁকড়া চাষের বিষয়ে আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে ভালো ধারনা পেয়েছেন। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগালে মাছ চাষে ভবিষ্যতে তাদের অনেক সফলতা আসবে।
এরপর ২০ জন মাছ চাষিসহ মৎস্য অধিদপ্তরের একই উপজেলার ধানখালী বাগদা ধানচাষ প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। অত:পর দলটি শ্যামনগর আকাশলীনা ইকো-ট্যুরিজম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে আশেপাশের মৎস্য খামার ও এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও এর ক্ষতি কাটিয়ে উঠার উপায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপকূলীয় এলাকার মানুষের প্রাকৃতিক দূর্যোগ, আপদ, বিপদ ও ঝুঁকি সহ দূর্যোগ পূর্ববর্তী সতর্ক সংকেত প্রদানের কৌশল হাতেকলমে দেখানো হয়। শ্যামনগর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার তুষার মজুমদারের নেতৃত্বে পুরো আয়োজন সুন্দরভাবে ব্যবস্থাপনা করেন মৎস্য অধিদপ্তর শ্যামনগর উপজেলার একটি চৌকস দল।