চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃপত্রিকায় ডুমুরিয়ায় খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগের খবর প্রকাশিত হওয়ায় গাত্রদাহ শুরু হয়েছে সংকর মণ্ডল ও নারায়ন রায় গংদের। তারা বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবাদ বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে নিজেদের ধোয়া তুলসীপাতা ও ছাপাই গেয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার পুটিমারী ওয়াপদার ১৭/১ পোল্ডারের খানা বাড়িয়া খাল ও আঁধার মানিক এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া খালে অবৈধভাবে বেড়িবাঁধ ও পাটা দিয়ে পানি সরবরাহে বাধা সৃষ্টিসহ সমগ্র খালে ডালপালা পুঁতে দু’পাড়ের নিরীহ গরিব জনগণ ও জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করে এলাকার প্রভাবশালীদের মাছ চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ ২ বিলের ৩-৪ হাজার বিঘা কৃষকের আবাদি জমির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষকেরা জমি চাষ করতে পারছে না। প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পুটিমারীর মৃত পরিমল রায়ের পুত্র নারায়ন রায় ও আঁধার মানিক গ্রামের ফকির মন্ডলের পুত্র শংকর মন্ডলসহ মুষ্টিমেয় কয়েকজন লোকে খাল দুইটি অবৈধভাবে জোর করে বাঁধ ও পাটা দিয়ে পানি সরবরাহ বাধার সৃষ্টির ফলে এলাকার জমির মালিকদের চলতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকি খালে মধ্যে ঢালপালা পুঁতে রাখায় স্থানীয় গরিব অসহায় জনগণের মাছ ধরা বন্ধসহ বিলে পানি নিষ্কাশন একেবারে বন্ধ করে জবর দখল করে মাছ চাষ করছে। এদের বিরুদ্ধে কথা বললে মামলা-হামলা দেয়ার হুমকি প্রদান করছে। এলাকার নিরীহ গরিব জনগণ ও গরিব জেলেরা যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের মাছ ধরতে না দেয়ায় অর্ধহারে-অনাহারে তারা দিনাতিপাত করছে বলে জানা যায়। অন্যদিকে এলাকার কৃষকদের কয়েক হাজার বিঘা জমি পতিত হয়ে পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় শালিস মিটিং করলেও কোনও ফল পাইনি এলাকার কৃষকেরা। জানা গেছে, রেকর্ডে উক্ত খালটি ইউনিয়ন বোর্ড কর্তৃক সংরক্ষিত এবং জনগণের জন্য ব্যবহার্য্য হিসাবের উল্লেখ থাকলেও নারায়ন ও শংকর গং সহ কিছু প্রভাবশালী পেশীশক্তির জোরে অবৈধ তৎপরতায় জবর দখল করে মাছ চাষ করছে।