খুলনার ডুমুরিয়ায় হিমায়িত রপ্তানি যোগ্য চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য জেলি পুশ করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ডিপো মালিক ও কর্মচারীসহ ৬ জনের জেল-জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে। রবিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা সদরের ২টি মৎস্য ডিপোতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ এবং উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মোঃ মনিরুজ্জামান যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারা জানতে পারেন, ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পশ্চিম পার্শ্বস্থ জনৈক মোস্তফা শেখ ও মুশফিকুর রহমানের মৎস্য ডিপোতে গলদা চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য জেলি পুশ করা হচ্ছে। খবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মনিরুজ্জামানসহ মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারা ওই ডিপোতে অভিযান চালায়।
এ সময় অপদ্রব্য পুশ চলমান অবস্থায় ডিপো মালিক মোস্তফা শেখসহ অন্যানদের হাতে নাতে ধরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারা লংঘনের অপরাধে মোস্তফা শেখকে ১ মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমান আদেশ এবং মুশফিকুর রহমানের ডিপোর কর্মচারী ফরিদ মোল্যাকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ওই ডিপোর নারী শ্রমিক শেফালী বেগম,আমেনা বেগম,পিয়া বেগম ও শিল্পী বেগম প্রত্যেককে ৫০০টাকা জরিমানা ধার্য্য করে আদায় করা হয়।
এ সময় আদালত অপদ্রব্য পুশকৃত প্রায় ১০০কেজি চিংড়ি বিনষ্ট এবং পুশের জন্যে মজুদ রাখা আরো ১০০ কেজি চিংড়ি নিলাম ডাকের মাধ্যমে সাড়ে ৫২ হাজার টাকা বিক্রি করে টাকা রাস্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন।
অভিযান পরিচালনায় উপস্থিত থেকে সহযোগীতা করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, ডুমুরিয়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বক্কার সিদ্দীক, থানা পুলিশের একটি টীম।