শেখ মাহতাব হোসেন:: ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে অবৈধভাবে চলছে ওষুধের দোকান। এসব দোকানের বেশির ভাগেরই কোনো লাইসেন্স নেই। ফার্মাসিস্ট ছাড়াই চলছে এগুলো। কোনো দক্ষতা ছাড়াই ওষুধ বিক্রির ও চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করছেন অনেক দোকান মালিক। এসব কারণে অনেক সময় রোগীরা ঝুঁকিতে পড়ছেন। উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া, রঘুনাথপুর, রুদাঘরা, খর্নিয়া, আটলিয়া, মাগুরা ঘোনা, শরাফপুর, সাহস গুটুদিয়া, শোভনা, ভাণ্ডারপাড়া, রংপুর, মাগুরখালী ও ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাট-বাজারে গড়ে উঠেছে লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্টবিহীন এসব ওষুধের দোকান। ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে কয়টি লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্টবিহীন ফার্মেসি আছে তার সঠিক তথ্য দিতে পারেনি ড্রাগিস্টস মালিক সমিতি।
বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি গৌর কিশোর রায় জানান, অনেক ফার্মেসি লাইসেন্স করে নবায়ন এবং ফার্মাসিস্টের জটিলতার কারণে অনেকে লাইসেন্স করতে পারছে না। তাই তিনি দ্রুত ফার্মাসিস্টের জটিলতা অবসানের জোর দাবি জানান। উপজেলা সদরের? ডুমুরিয়া বাজার, খর্ণিয়া বাজার, চুকনগর বাজার, আঠারো মাইল বাজার, শাহাপুর বাজার, রঘুনাথপুর বাজার, পুকড়া বাজার, আমভিটা বাজার ও শরাফপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধ ব্যবসায়ীরা দোকানে বসে চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করছেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক ফার্মেসির মালিক জানান, ড্রাগ লাইসেন্স পাওয়াটা বর্তমানে অনেক কঠিন হয়ে গেছে। তাই লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ বিক্রয় করছি। কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি এখনো। যদি বেশি সমস্যা হয় তাহলে ঘুষ দিয়ে হলেও লাইসেন্স বানিয়ে নিতে হবে। ১৯৪৬ সালের ড্রাগস রুল অনুযায়ী এসব ফার্মেসিতে ওষুধ মজুত, প্রদর্শন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আল আমিন জানান, শিগগিরই উপজেলার লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্টবিহীন ফার্মেসিগুলোতে ঔষধ প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।