শেখ মাহতাব হোসেন :: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরের মঠবাড়িয়ায় ঘরোয়া সমিতির সদস্যদের সঞ্চয়ের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে।
প্রকাশ কুমার মনু (৩৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ৮৪০ জন সদস্য তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরৎ পেতে ডুমুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের পর বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও সমিতির সদস্যগণ মনুর বাড়ি ঘেরোয়া করে তার কাছে প্রাপ্ত টাকা আদায়ের জন্য বিক্ষোভ শুরু করেন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া মালোপাড়ার মৃত বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের ছেলে প্রকাশ কুমার বিশ্বাস মনুর বাড়ির সাথে একটি মুদির দোকান রয়েছে। সে অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মহল্লার বিভিন্ন শেণি-পেশার অন্তত দু’ শতাধিক মানুষকে সমিতির অন্তর্ভুক্ত করেন।
সমিতির নাম দেয়া হয় মঠবাড়িয়া মালোপাড়া পল্লী যুব উন্নয়ন সমবায় সমিতি। যার মোট সদস্য সংখ্যা ৮৪০। দীর্ঘ একযুগ অতিক্রান্তের পর চলতি বছরে সমিতির মেয়াদ শেষ হয়।
এদিকে স্ব-স্ব সদস্যদের সঞ্চয়ী বইয়ের চুড়ান্ত হিসাব করে স্ব-স্ব বইয়ের মোট প্রাপ্য টাকার কথা উল্লেখ করে, স্বাক্ষর করেছেন, সমিতির নেতা প্রকাশ কুমার মনু। যাহা ৮৪২ সদস্যের লভ্যাংশ ও সঞ্চিতসহ মোট সঞ্চিত টাকার পরিমান ৫০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু দীর্ঘদিন সদস্যদের সঞ্চিত টাকা ফেরৎ না দিয়ে সে নানা টালবাহানা করে আসছে।
ভুক্তভোগী সমিতির সদস্য শংকর বিশ্বাস, নারায়ণ বিশ্বাস, দীলিপ বিশ্বাস,অসীম বিশ্বাস, পঙ্কজ বিশ্বাস, মমতা বিশ্বাস, অঞ্জলি বিশ্বাস,সুচিত্রা জৌতি বিশ্বাস, পবিত্রা বিশ্বস, গোপাল বিশ্বাস, গোবিন্দ বিশ্বাস, সমিরণ বিশ্বাস সহ উপস্থিত প্রায় পাঁচ শতাধিক নারি-পুরুষ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, সমিতির সঞ্চিত টাকা নিয়ে মনু নানা টালবাহানা করছেন। সঞ্চিত টাকা ফেরৎ পেতে আমরা ডুমুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত সমিতির নেতা প্রকাশ কুমার মনু জানান, সমিতির কোন নিবন্ধন নাই। অনেক দিন ধরে সমিতির কার্যক্রম চালিয়ে আসছি কোন সমস্যা হয়নি। অনেক সদস্যর টাকা পরিশোধ করেছি। আবার কিছু সদস্য টাকা পাবে। সে টাকা ফেরৎ দেয়ার চেষ্টা করছি।
অভিযোগ তদন্তকারি কর্মকর্তা ওসি অপারেশন (তদন্ত) সঞ্জয় দাশ, অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উভয় পক্ষের সাথে আলাপ হয়েছে তারা স্থানীয়ভাবে একটি আপোষ মিমাংসা করে থানাকে অবহিত করবেন।