জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে বিজয় সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান করা হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে ৯টি উপজেলায় বিজয় সমাবেশের অংশ হিসাবে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ডুমুরিয়া আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মো: আবু হানিফ।
প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক এস এম আজিজুর রহমান রাসেল।
এদিন বিকালে ডুমুরিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে বিশাল গাড়িবহরের শোভাযাত্রা সমাবেশস্থলে পৌঁছালে নেতাকর্মীদের শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো ডুমুরিয়া বাজার এলাকা। পরে মিছিল সহকারে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তাকে সমাবেশ স্থলে নিয়ে আসেন। মুহুর্তেই সমাবেশ স্থল জনসভায় রুপ নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মো: আবু হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার সততা, দুরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বের কারনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের একটি রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাকে ব্যহত করতে বিএনপি খালেদা জিয়াকে নিয়ে নতুন রাজনীতি শুরু করেছে। তারা চায় খালেদা জিয়াকে হত্যা করে দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন বিএনপি-জামায়াতের এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সজাগ রয়েছে। কোনোভাবেই এই বাংলার মাটিতে অপশক্তিকে মাথাচাড়া দিতে দেয়া হবেনা।
সমাবেশের প্রধান বক্তা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক এম এম আজিজুর রহমান রাসেল বলেন, যারা আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেন তাদের কাছে প্রশ্ন বিএনপির আমলে দেশের অবস্থা কেমন ছিল একটু ইতিহাস দেখুন। সেই আমলে তারা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
তিনি আরও বলেন বিএনপির আমলে বাংলাদেশে দুর্নীতিতে চাম্পিয়ন হয়েছিণ আর আওয়ামী লীগের আমলে বাংলাদেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন মুক্তিযুদ্ধের এই বাংলাদেশে আর কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করতে দেয়া হবেনা।
ডুমুরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক এম এম হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, শাহনাজ হোসেন জোয়ারদার, অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগনেতা নজিবুর রহমান নাজু, সৈয়দ সরদার, জিএম ফারুক হোসেন, মোল্লা সোহেল রানা, শরিফুল ইসলাম, খান আবু বক্কার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জিএম রেজা, মোঃ হুমায়ুন কবির, রুহুল আমিন রবি, আবুল কালাম আজাদ, আনিচুল হক, অজয় নন্দী, মোঃ মিজানুর রহমান মিজান, কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, আবুল বাশার, কুমারেশ বিশ্বাস, গাজী ইদ্রিস আলী, খান ফরহাদুজ্জামান সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেজাউল ইসলাম রাজা, মোঃ ফেরদাউসুর রহমান, জিহাদুল চৌধুরী মিলন, মঈন উদ্দিন মাসুদ রানা, মোঃ সরোয়ার হোসেন গহন, এফ এম হাবিবুর রহমান, আনসার আলী বাদল, শাহ নুর মোহাম্মদ, আবির মালিক, মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, আবুল হাসান পলাশ, লিন্টন দাস, শেখ আলী রেজা, মোঃ আজিম মিয়া, মিঠুন দাস, শেখ মইনুদ্দিন, সুরভী লাইজু, ছাত্র নেতা আমিনুর রহমান, সালাউদ্দীন আহমেদ, অরিন্দম গোলদার, মাকসুদুল আলম মামুন, কামাল হোসেন, আবু সালেহ বাবু, আশরাফুল আলম মোড়ল, মিরাজুল ইসলাম, মৃনাল কান্তি বাছাড়, সুরজিৎ মন্ডল, শেখ মোঃ রাসেল, হেলাল বাবু, মোঃ রায়হান শেখ মুন্না, মোহন গাইন টমাস, চিন্ময় রায়, শেখ মান্নান, নাইম শেখ, সাইফুল শাহ, মিঠুন মন্ডল, আলামিন শেখ, রাজু রায়, সোহাগ জমাদ্দার, হাফিজুর রহমান, আম্মান শেখ প্রমুখ।