শেখ মাহতাব হোসেন , ডুমুরিয়া প্রতিনিধি :: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় সেচ্ছাশ্রমে স্লুইচ গেটের দু’পাশের জমাকৃত পলি ও নেট-পাটা অপসারন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করেছেন দু’ইউপি চেয়ারম্যান সহ পাঁচ শতাধিক জনগন। নদী বাঁচাও-কৃষক বাঁচাও কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার খর্ণিয়া-রুদাঘরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বিলসিঙ্গা-চহেড়া স্লুইচ গেটের পলি অপসারণ কাজে অংশগ্রহন করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ”লীগনেতা মোস্তফা কামাল খোকন,ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শেখ দিদারুল হোসেন দিদার,পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি,কৃষক,শিক্ষক,ছাত্রসহ স্থানীয় ৫ শতাধিক জনগন।হরি-ভদ্রা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আঃ মতলেব গোলদার,সাধারন সম্পাদক ইউপি সদস্য এমএ হান্নান ও কর্মসূচী পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বাবুল আকতার সবুর জানান,পাউবো’র ২৫ পোল্ডারে হরি-ভদ্রা নদী সংলগ্ন বিলসিঙ্গা-চহেড়া স্লুইচ গেট অবস্থিত।ওই স্লুইচ গেট দিয়ে রুদাঘরা ইউনিয়নের খরসঙ্গ,চহেড়া,মিকশিমিল,হাসানপুর,শোলগাতিয়া ও খর্ণিয়া ইউনিয়ের রানাই,আঙ্গারদহা,টিপনা,সিঙ্গা সহ ১০টি বিলের পানি নিস্কাশন হয়ে আসছে। সম্প্রতি হরিনদী নাব্যতা হারায় গেটের বাহির মুখে পলি জমে পানি নিস্কাশনে অযোগ্য হয়ে পড়েছে।এছাড়া ভিতরে গেটের খালে একাধিক স্থানে যত্রতত্র নেট-পাটা বসানোর ফলে পানি নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধে প্রবল বৃষ্টির পানি নিস্কাশন না হওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় কৃষক ও মৎস্য চাষীরা। যে কারনে হাজার হাজার হেক্টর জমি,ফসল,মাছ ও কৃষক বাঁচাতে এ কর্মসূচীর বিকল্প নেই, এমনটি মাথায় নিয়ে দু’ইউনিয়নের চেয়াম্যানের নেতৃত্বে পলি অপসারন কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে এ সেচ্ছাশ্রম কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল খোকন ও শেখ দিদারুল হোসেন দিদার উদ্বোধনী সভায় বক্তব্যে বলেন,ব্যক্তিগত অর্থায়নে একাধিক সেচ মেশিন স্থাপন ও সেচ্ছাশ্রমীদের দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা কয়েকদিন ধরে চলবে।তারা আরও বলেন,আশু সরকারী হস্তক্ষেপ না হলে হরিনদীর নাব্যতা হারিয়ে শিঘ্রই এ এলাকা বিল ডাকাতিয়ায় পরিনত হবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।