সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা রবিবার , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ডুমুরিয়া উপজেলার নদ-নদী বাঁচাতে টিআরএম বা জোয়ারাধার বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নাই | চ্যানেল খুলনা

ডুমুরিয়া উপজেলার নদ-নদী বাঁচাতে টিআরএম বা জোয়ারাধার বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নাই

শেখ মাহতাব হোসেন:: খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের কৈয়া বাজার থেকে খর্নিয়া ইউনিয়নের বালিয়াখালী ব্রীজ পর্যন্ত এই পাঁকা সড়কটির পূর্ব পাশে ২৭/১ নং পোল্ডার এবং পশ্চিম পাশে ২৭/২ নং পোল্ডার অবস্থিত। ২৭/১ নং পোল্ডারের দক্ষিণে আপার শোলমারী নদী, স্থানীয় মানুষ এ নদীকে গুপদিয়া নদী বলে। উত্তর ও পূর্ব পাশে হামকুড়া নদী। ২৭/২ নং পোল্ডারের দক্ষিণে আপার শোলমারী নদী এবং পশ্চিমে শালতা ও ভদ্রা নদী এবং উত্তরে হামকুড়া নদী। এ দুটি পোল্ডারের প্রশাসনিক এলাকা হলো ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া সদর, গুটুদিয়া, খর্নিয়া ও রঘুনাথপুর ইউনিয়ন। পোল্ডারের মধ্যে অবরুদ্ধ নদীর সংখ্যা ২৭/১ পোল্ডারে ৬টি এবং ২৭/২ পোল্ডারে ২টি। ২৭/১ ও ২৭/২ এর চারিপাশের সীমানার নদীগুলো সব মৃত।

নদীগুলো হলো হামকুড়া, ভদ্রা, শালতা ও আপার শোলমারী। পোল্ডার ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর বর্ষার পানি নিষ্কাশনের জন্য পোল্ডারের বাইরে যে কয়টি নদী রাখা হয় সেগুলো ক্রমে ক্রমে পলি দ্বারা ভরাট হতে থাকে। পোল্ডার পূর্বে জোয়ারে আগত পলি বিলের মধ্যে অবক্ষেপিত হতো, এখন তা অবক্ষেপিত হয় নদীর মধ্যে। এভাবে ১০-১৫ বৎসর যাবত নদীবক্ষে পলি জমা হওয়ার কারণে নদী তার নিস্কাশন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং দ্রুত গতিতে মৃত্যুমুখে পতিত হতে থাকে। জোয়ার উঠার শেষ এলাকা অর্থাৎ প্রান্তভাগ থেকে নদীগুলোর মৃত্যু হতে হতে তা দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হতে থাকে। দেখা গেছে প্রতিটি নদী প্রতি বৎসর ৬-৭ কিমি মারা যাচ্ছে। প্রতি বৎসর ৩-৪ ফুট অর্থাৎ ১মিটারের অধিক পলি জমা হয় নদীর বুকে, বর্ষার চাপ কম হলে এ হার আরও বৃদ্ধি পায়। শুধু নদ-নদীতে নয় ব্লুইসগেটের বাইরেও নিষ্কাশন খালে পলি জমা হয়ে পানি নিস্কাশনে বাঁধা সৃষ্টি করে। পলি জমে যেসব নদীর উপরের অংশ মৃত্যুবরণ করেছে সন্দেহ নাই অতি দ্রুত তার নিম্নাংশও পলি জমে মৃত্যুর কবলে পতিত হবে।

যেসব এলাকায় টিআরএম বাস্তবায়িত হয়েছে সেসব এলাকায় নদীগুলোর নাব্যতা দীর্ঘতর হয়েছে। যেমন ভবদহের হরি অববাহিকায় টিআরএম বাস্তবায়িত হওয়ায় এর নিম্নে তেলিগাতী-ঘ্যাংরাইল নদী এবং বারআড়িয়ার নিম্নে হাবরখালী-দেলুটি নদী নাব্য হয়েছে, কপোতাক্ষ অববাহিকার নিম্নে কড়ুলিয়া ও শিবসা নদী নাব্য হয়েছে। বর্তমানে ভবদহ ও কপোতাক্ষ এলাকায় টিআরএম বন্ধ, ফলে ঐসব নদী আবারও পলি দ্বারা ভরাট হতে চলেছে।

অন্যদিকে পশ্চিম শালতা ও আপার শোলমারী নদীর নিম্ন মোহনায় পলি দ্বারা ভরাট হয়েছে। শেষ ভাটার সময় এ মোহনা জেগে উঠে। কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে নিম্নে লোয়ার শোলমারী ও লোয়ার শালতা নদীও দ্রুত মৃত্যুমুখে পতিত হবে। সাতক্ষীরা অঞ্চলের শেষ ভরসাস্থল খোলপেটুয়া নদী ও সুন্দরবনের নদী-খাল পলি দ্বারা ভরাট হয়ে এমন পর্যায়ে উপনীত হয়েছে যে, আগামী ২-৩ বৎসরের মধ্যে এসব নদ-নদী পানি নিষ্কাশনের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। ফলে সমগ্র জনপদ যে একটা মহা বিপর্যয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

https://channelkhulna.tv/

খুলনা আরও সংবাদ

ভেদাভেদ ভূলে দ্বীনে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সকল আলেমদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: মাওঃ রফিকুল

খুবিকে ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে, গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা

বেগম খালেদা জিয়া এখন বাংলাদেশের সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তি : আজিজুল বারী হেলাল

জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সকলকে সর্তক, সজাগ থাকতে হবে: তুহিন

নিশ্চিত মৃত্যু যেনেও ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বায়ুপথে ইয়াবা বহন আটক এক

খুলনা বিভাগীয় বইমেলা শুরু ২৬ নভেম্বর, চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।