চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ ডেঙ্গু মোকাবেলায় মশক নিধনের জন্য একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মশক নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সম্ভাব্য ডেঙ্গু মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় বিভাগ বা সংস্থার দায়িত্বশীল প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের করণীয় নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর স্বাক্ষরে একটি আধা সরকারি পত্র প্রেরণ করা হবে।
সম্মিলিত উদ্যোগের অংশ হিসাবে দুই সিটি করপোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একযোগে মশক নিধন অভিযান শুরু করবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি ভবন, লেক, পার্ক, খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদফতর বা কর্তৃপক্ষ কিন্তু মশা মারার কাজ করবে সিটি করপোরেশন।
দীর্ঘ ছুটির সময় বন্ধ থাকা সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো থেকে এডিস মশার উৎপত্তি যেন না হয় তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৩১ মার্চ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মশা কানের কাছে ‘সংগীতচর্চা’ করছে। মশার প্রাদুর্ভাবটা আস্তে আস্তে শুরু হবে। তারপর আসবে ডেঙ্গু। এ ব্যাপারে এখন থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের। ওই সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রীও ওই ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। এরপরই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বসলেন মন্ত্রী।
এসময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লেকগুলো পরিষ্কার করে দিলে আমরা ওষুধ ছিটাবো। তাহলে মশা মরবে। এটাই সময় একসঙ্গে কাজ করার।