অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে করা দেড় কোটি টাকার জরিমানার রায় স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এই মামলায় তার জামিন নাকচ করে সাজার বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হোসেন।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় গত ১২ মে মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে খালাস চেয়ে আবেদন করেছেন মোহাম্মদ হোসেন।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ-পাচার অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই পৃথক দুটি মামলা হয়। রাজধানীর কলাবাগান থানায় মামলাগুলো করে দুদক। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এরমধ্যে গত ১২ মে এক মামলায় রায় দেন আদালত। মামলার শুরু থেকেই মোহাম্মদ হোসেন ও রফিকুল আমীন কারাগারে আছেন।