ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। আবেদনকারীকে ন্যূনতম ৮ম শ্রেণি পাস হতে হবে। অপেশাদারের জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে। এছাড়া মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
যেভাবে আবেদন করতে হবে
প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd)-এর মধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইন থেকেই লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হবে এবং সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। এরপর ২/৩ মাস প্রশিক্ষণের পর নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক এবং ফিল্ড টেস্ট-এ অংশগ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রয়োজনীয় প্রমাণ, লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সঙ্গে আনতে হবে।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে:
১) নির্ধারিত ফরমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
২) আবেদনকারীর ছবি।
৩) রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট কপি।
৪) জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি।
৫) ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি (আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তবে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে)।
৬) বর্তমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি।
৭) নির্ধারিত ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।
অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য দিলে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি দিয়ে করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। বায়োমেট্রিক (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের পর স্মার্ট কার্ড ইস্যু করতে হবে। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১) নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।
২) রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩) ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
৪) নির্ধারিত ফি (পেশাদার- ১৬৭৯/-টাকা ও অপেশাদার- ২৫৪২/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৫) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৬) সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি:
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি: –
(ক) ক্যাটাগরি-১ এর জন্য ৩৪৫ টাকা (শুধু মোটরসাইকেল অথবা শুধু হালকা মোটরযান অর্থাৎ যে কোনো এক ধরনের মোটরযান)
(খ) ক্যাটাগরি-২ এর জন্য ৫১৮ টাকা (মোটরসাইকেল এবং হালকা মোটরযান একসঙ্গে অর্থাৎ মোটরসাইকেলের সঙ্গে যে কোনো এক ধরনের মোটরযান)
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি:
(ক) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি – ১৬৮০ টাকা (০৫ বছরের নবায়ন ফিসহ)
(খ) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি – ২৫৪২ টাকা (১০ বছরের নবায়ন ফিসহ)
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি:
(ক) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি – মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৫৬৫ টাকা;
(খ) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি – মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭ টাকা;
(গ) পেশাদার ও অপেশাদার উভয় ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পার হলে প্রতি বছরের জন্য ২৩০টাকা হরে জরিমানা দিতে হবে।