শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অন্য তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সাজা বাতিল করেছে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে শুনানি শেষে বিচারক এম এ আউয়াল এই রায় দেন।
গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা এক মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনুস এবং এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
রায় ঘোষণার পরপরই পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত চারজনকেই এক মাসের জামিন দেন। ছয় মাসের কারাদণ্ড ছাড়াও আদালত চারজনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২৫ দিন কারাদণ্ড দেন।
পাশাপাশি আদালত তাদের এক মাসের মধ্যে শ্রম আইন ২০০৬ এর প্রাসঙ্গিক ধারাগুলো মেনে চলার নির্দেশ দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন ড. ইউনূস।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান।
মামলার নথি অনুসারে, আইএফইডি কর্মকর্তারা ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশকিছু লঙ্ঘন খুঁজে পান।
ওই বছরের ১৯ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল কিন্তু তা করা হয়নি।
এ ছাড়া, কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনো গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ করা হয়নি।