ক্রীড়া ডেস্কঃআগেই টুর্নামেন্ট থেকে বাদ নিশ্চিত হয়েছে রংপুর রেঞ্জার্সের। শেষ ম্যাচটা ছিল শুধুই নিয়ম রক্ষার। সে ম্যাচে গ্রেগরির নৈপুণ্যে ঢাকাকে ১১ রানে হারিয়ে শেষটা জয় দিয়ে রাঙাল রংপুর। অন্যদিকে হেরে প্লে অফের প্রথম কোয়ালিফায়ারে ঢাকার জায়গা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রংপুরের দেওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার। দলীয় ৯ রানে রান আউটের শিকার হন এনামুল হক বিজয়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৬ রান যোগ করেন তামিম ও মেহেদী হাসান। দলীয় ৫৫ রানে ২৪ বলে ২০ রান করে আরাফাত সানির বলে আউট হন মেহেদী। ৭৯ রানে সানির বলেই ফিরে যান তামিমও। ফেরার আগে তিনি করেন ৩৩ বলে ৩৪ রান।এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। ১৮তম ওভারের শেষ বলে ১১৯ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে অল আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে মাশরাফির দল। মুমিনুল হক ১৮ ও সাদাব খান করেন ১৬ রান।
শেষ উইকেটে জুটিতে হাসান মাহমুদের সঙ্গে ১৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে অল আউট হওয়া থেকে রক্ষা করেন অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি অপরাজিত থাকেন ১২ রানে। তবে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি ম্যাশ। ২০ ওভার শেষে ঢাকা থামে ৯ উইকেটে ১৩৮ রান তুলে। রংপুরের বোলার জুনায়েদ খান, তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট শিকার করেন। আর মুস্তাফিজ ও গ্রেগরির শিকার ১টি করে উইকেট।
এর আগে, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ওয়াটসন-নাঈমরা। ঢাকার বোলাররা রংপুরের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে। প্রথম ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫২ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় রংপুর। চতুর্থ উইকেটে আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গড়ার চেষ্টা চালান লুইস গ্রেগরি। ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৯৯ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে গ্রেগরি খেলেন ৩২ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। বাকিদের মধ্যে আল আমিন ৩৫ ও জহুরুল হক ২৮ রান করলে ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ পায় রংপুর।
ঢাকার বোলার থিসারা পেরেরার ৩ ওভার বোলিং করে ২২ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। সাদাব খান ৪ ওভারে ২৫ রানে নেন ২ উইকেট। এ দিন দুর্দান্ত বোলিং করেন মাশরাফিও। মাত্র ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে তিনি দেন ১৭ রান।